মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব গুতেরেসের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ‘গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন আলাপকালে এই মানবাধিকার ‘লঙ্ঘনের ইতি ঘটাতে জাতিসংঘের ভূমিকার উপর জোর দেন’।
কাশ্মীরে সা¤প্রতিককালের সহিংসতা বিশেষ করে এক ডজনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক হত্যা এবং তিন শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে জনাব খান এই পরিস্থিতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেছেন, “জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যেকার দ্বিপাক্ষিক কোন ইস্যু নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি বিবাদ এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা’।
জনাব খান মি. গুতেরেসের প্রতি জোর দাবি জানান যাতে তিনি ‘কাশ্মীরে রাষ্ট্রীয় দমন, সহিংসতা এবং কাশ্মীরের যুবক, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বর্বর শক্তি প্রয়োগ করা থেকে ভারতকে নিরস্ত করেন’।
তিনি জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের জন্য একটি কমিশন অব ইনকোয়ারি কাশ্মীরে পাঠানোর দাবি করেন। জুন ২০১৮ এর ইউএন হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের রিপোর্টেও এই সুপারিশ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিবাদ মেটানোর জন্য একজন বিশেষ জাতিসংঘ প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ‘দখলকৃত কাশ্মীরে প্রেসিডেন্টের শাসন চাপিয়ে দেয়া হলে সেটা পরিস্থিতির আরও অবনতি করবে”।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা এলাকায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর কয়েকদিন পরেই জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে এই কথা বললেন খান।
প্রধানমন্ত্রী এক টুইটে লেখেন, ‘কাশ্মীরিদের অবশ্যই তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার দিতে হবে’। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, তার সরকার দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যুটি জাতিসংঘে তুলবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যাতে ‘জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে তাদের গণভোটের প্রতিশ্রুতি পূরণ করে’ তারও দাবি জানান তিনি।
পুলওয়ামাতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী গুলি ছুঁড়লে কমপক্ষে সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় এবং তিন ডজনেরও বেশি আহত হয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন যে, সেনারা সরাসরি ভিড় লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।