Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্যাটউইক অচলাবস্থা কাটেনি, দুর্ভোগে লাখো যাত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রানওয়েতে ড্রোন ওড়ার কারণে তৃতীয় দিনের মত বন্ধ রয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্যস্ততম বিমানবন্দর গ্যাটউইক; বড়দিনের মৌসুমে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো যাত্রী। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দরটিতে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি যাত্রী আটকা পড়ে আছেন বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা বিমানবন্দরের দক্ষিণ টার্মিনালে ‘বরফ ঠান্ডা’ তাপমাত্রা নিয়ে বিবিসির কাছে অভিযোগ করেছে। কেউ কেউ বলছেন, বিমানবন্দরে অচলাবস্থার কারণে বড়দিন উপলক্ষে তাদের বেড়ানোর পরিকল্পনা মাঠে মারা যাচ্ছে। কেউ কেউ নতুন করে টিকেট কিনতে এবং হোটেলে বাড়তি অর্থ খরচ হয়ে যাওয়ার অভিযোগও করেছেন। গত বুধবার রাতে গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) উড়তে দেখা যাওয়ার পর উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তখন তারা বলেছিলেন, ফ্লাইট ছাড়ার অন্তিম মুহূর্তে তারা ড্রোনটি দেখতে পান এবং রানওয়ে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত উড়োজাহাজ উঠা-নামা বন্ধ থাকবে। শুরুতে দুইটি ড্রোনের কথা বলা হয়েছিল। ড্রোনটি কে বা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে পুলিশ তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনও ড্রোনের পাইলট বা সেটি কোনদিন থেকে আসছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো ধারণা তারা করতে পারেনি। বিবিসি জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রানওয়ের কাছে ড্রোনটি উড়তে দেখার অন্তত ৫০টি রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে শুক্রবারও গ্যাটউইক বিমানবন্দর বন্ধ রাখতে ‘বাধ্য হতে পারেন’ জানিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবারের ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে নিজ নিজ এয়ারলাইনে খবর নেওয়ার আনুরোধ করেছেন। এদিকে, বিক্ষিপ্তভাবে গুলি চালাতে হবে আশঙ্কায় পুলিশ শুরুতে ড্রোনটি ভূপাতিত করতে চাইছিলেন না বলে জানিয়েছিলেন বিমানবন্দরের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ক্রিস উডরুফ। তখন তিনি বলেছিলেন, “কে ড্রোন ওড়াচ্ছে তাকে খুঁজছে পুলিশ। ড্রোন নিস্ক্রিয় করার রাস্তা এটাই।” কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করায় এখন পুলিশ সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার কথা ভাবছে বলে জানায় বিবিসি। যেটিকে পুলিশ ‘কৌশলগত অভিযান’ নাম দিয়েছে। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ