বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, গত ১২ বছরে যারা জনগণের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখেনি, চৌদ্দগ্রামের কোন প্রকার সমাজিক অনুষ্ঠানে যাদের দেখা মেলেনি- তারা এখন কোন অধিকার নিয়ে ভোট চাইতে আসবে ? জনগণ থেকে যারা বিচ্ছিন্ন তারা কোনদিন জনপ্রতিনিধি হতে পারেনা। এরা জনপ্রতিনিধি নয়, এরা সন্ত্রাসীদের প্রতিনিধি। এদের জনগণের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। এরা অতিতে ধর্মের দোহাই দিয়ে, ধর্মের কথা বলে ভোট নিয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করেছে। বিগত সময়ে চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামবাসীর সাথে বেঈমানী করেছে। যার ফলাফল হিসেবে চৌদ্দগ্রামবাসী তাদের চৌদ্দগ্রাম থেকে বিতাড়িত করেছে। তাই তারা এখন আর জনগণের কাছে ভোট চাইতে আসতে পারে না।
মন্ত্রী ২১ ডিসেম্বর সকাল থেকে দিনব্যাপী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, জামায়াতের আমলে চৌদ্দগ্রাম ছিলো সন্ত্রাসীদের জনপদ। চৌদ্দগ্রামের মানুষ জামায়াত-শিবিরের হাতে জিম্মি ছিলো। ওই সময় নির্বাচিত এমপি জামায়াত নেতা তাহেরের গাড়িতে এবং আশেপাশে থাকতো সন্ত্রাসী। ওই সস্ত্রাসীদের অত্যাচারে সে সময় সাধারণ মানুষ কোনদিন শান্তিতে বাড়ি ঘরে থাকতে পারতো না। সে সময় আওয়ামীলীগের অসংখ্য কর্মীকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। যা চৌদ্দগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ কোনদিন ভুলবে না।
এদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুজিবুল হক কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই সন্ত্রাসী রাজত্ব থেকে মানুষকে নিরাপদে থাকার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ১০ বছরে এলাকার মানুষের উপর কোন নির্যাতন করেনি। সাধারণ মানুষ নিজেদের স্বাধীনতা নিয়ে অবাধে বাড়ি ঘরে থাকতে পেরেছেন।
মন্ত্রী চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর অবহেলিত চৌদ্দগ্রামে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড করে চৌদ্দগ্রামকে একটি উন্নত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের তালিকা বলে শেষ করা যাবে না। কুমিল্লা জেলা নয়, বাংলাদেশে এমন কোন উপজেলা পাওয়া যাবে না যেখানে সরকারের সকল প্রকার উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের চৌদ্দগ্রামে একটি জনবিচ্ছিন্ন দল নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে তাও বিএনপির মতো একটি দেওলিয়া দলের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে। এদের কোন চরিত্র নেই এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য যেকোন সময় নিজেদের চরিত্র নষ্ট করে দেয়। যা বর্তমান সময়ে অন্যদের উপর ভর করে ধানের শীষ নিয়ে মাঠে এসেছে। এরা একটি নিষিদ্ধ দল।
এরা অতীতে চৌদ্দগ্রামবাসীকে ধোকা দিয়ে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছিলো। নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যাণে কোন উন্নয়ন না করে নিজেরা পকেট ভারী করেছিলো।
তাই চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যাণে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে চৌদ্দগ্রামকে একটি আলোকিত মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ দিবেন। তাই আগামী ৩০ তারিখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাওয়ার জন্য আমি আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমি এবং আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রতিটি গ্রাম হবে শহর।
পথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ওমর ফারুক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (সিআইপি), চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, ঘোলপাশা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জাপর আহমেদ, চিওড়া ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাশেম প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।