বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইলেন কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া ফুটবল মাঠে প্রকাশ্যে ভোট চেয়ে সামজিক মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হয়েছেন তিনি। সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মোশফিকুর রহমান মিল্টন জানান, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এ্যাকরোবেটিক সার্কাসের আয়োজন করা হয় কলারোয়া উপজেলা ফুটবল মাঠে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা কলারোয়ার নৌকার সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট মুস্তফালুৎফুল্লাহ, কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু, ১২ নং যুগিখালি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, কলারোয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরাইয়া ইসলাম রতœাসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে কলারোয়া থানার ওসি বক্তব্য রাখেন।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ওসির প্রত্যাহারসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিইসি’র পাঁচজন কর্মকর্তাসহ জেলা রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে পুলিশের পোশাক পরে প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে আইন অমান্য করেছেন, নির্বাচন আচরণবিধি লংঘন করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এপর্যন্ত শত শত নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে। অনেককে পঙ্গু করা হয়েছে। বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের প্রতি এসব অন্যায়-অত্যাচার বন্ধ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মানুষকে তার ন্যায্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দিন। যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করুন। একটি শান্তিপূর্ণ নিবার্চন জনগণ দেখতে চায়।
সাতক্ষীরার সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ওসি যদি এমনটি বলে থাকেন তাহলে সে-টি ঠিক হয়নি। পুলিশ আইন-শৃংখলা নিয়ে কথা বলতে পারেন, ভোট চাইতে পারেন না।
কলারোয়া থানার ওসি শেখ মারুফ আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি বক্তব্য দিয়েছিলাম ঠিকই, তবে ভোট চাই নি। আমার বক্তব্য এডিট করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।