Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাটোরের ভোটারদের ভোট ভাবনা

নাটোর থেকে মো. আজিজুল হক টুকু | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোরের চারটি আসনে পুরোদমে চলছে নির্বাচনী হাওয়া। বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণ থাকলেও মূলত নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরাই সরব রয়েছেন এখানে। নাটোরে মোট ১৩ লাখ তিন হাজার ৮৭৭ জন ভোটার চারটি আসনে ৫৬৬টি ভোটকেন্দ্রের দুই হাজার ৬৭৫টি ভোটকক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

নাটোর-১ (বাগাতিপাড়া-লালপুর) : আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪১টি কক্ষে মোট তিন লাখ ১১ হাজার ৯২৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৬ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৯ জন।
নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) : আসনে ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ৬৮১টি কক্ষে মোট তিন লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে এক লাখ ৭০ হাজার ৯৬০ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৭৩ হাজার ২৬ জন নারী ভোটার।

নাটোর-৩ (সিংড়া) : আসনে ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রে ৫৮২টি কক্ষে মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ১৭৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে এক লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৪ জন পুরুষ এবং এক লাখ ৩৮ হাজার ২৪৪ জন নারী ভোটার।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) : আসনে ১৬৭টি ভোটকেন্দ্রে ৭৭১ কক্ষে মোট তিন লাখ ৭১ হাজার ৭৮৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। যার মধ্যে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৭ জন পুরুষ ভোটার এবং এক লাখ ৮৬ হাজার ৭৪১ জন নারী ভোটার।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নাটোরের কিছু ভোটারদের কাছে জানতে চায়া হয়েছিল তাদের ভাবনার কথা। কেমন ভোট চাইছেন তারা? কেমন প্রার্থীকে তারা নির্বাচন করতে চান? এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. মুজিবুল হক নবী বলেন, যেহেতু ভোট একটা উৎসব তাই আমি চাই সুষ্ঠু ও অবাধ পরিবেশে সমাজের সকল ভোটার নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। ভয়হীন ও শঙ্কাহীন মনে ভোটাররা যেন ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে সেটাই আমার চাওয়া।

নাটোর চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. আমিনুল হক বলেন, নির্বাচন সময়কালীন পরিস্থিতি ব্যবসার উপরে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। ভোট উৎসবকে কেন্দ্র করে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ডা. আব্দুস সামাদ ৩০ ডিসেম্বর এমন সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান দেখতে চান যার মাধ্যমে গঠিত সরকার দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন। গৃহশিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম এমন প্রার্থীকে বিজয়ী দেখতে চান, যিনি হবেন সৎ ও নির্ভীক এবং সবসময় জনগণের পাশে থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
গৃহিণী শামসুন্নাহারের মতে, জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে ৩০ ডিসেম্বর ভোট দেয়ার জন্য সকলেরই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারা উচিত। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে নতুন ভোটার রুবেল, মামুন, সোহেলের মতো তরুণরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, এবারের ভোট একপেশে হচ্ছে। পেশিশক্তি প্রদর্শন করে ক্ষমতাসীন নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা ধানের শীষের কর্মীদের ভোট প্রচারণায় হামলা করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাধাগ্রস্ত করছে, নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে ফেলছে, আবার পোস্টারো ছিঁড়ে ফেলছে। তারা ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য সেনাবাহিনীর মোতায়েন চান।

তবে অনার্সপড়–য়া কলেজ শিক্ষার্থী নতুন ভোটার শ্রাবণী ভোট দিতে চাচ্ছেন না। তিনি বলেন, প্রার্থীরা শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ আমরা পাই না। মেধার মূল্যায়নের চেয়ে ঘুষ দিয়ে চাকরি নিতে হয়। তাই আমার পছন্দের যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না থাকায় আমি ভোট দেবো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ