Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐক্যফ্রন্ট বনাম প্রশাসনের নির্বাচন

চাঁদপুরে বিএনপি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

পুলিশ রাতের বেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি করছে, তাদের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ যুক্ত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের লোকজনকে গালাগাল করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। এতে বুঝা যায়, চাঁদপুর-৫ আসনে ঐক্যফ্রন্ট বনাম প্রশাসনের মধ্যে নির্বাচন চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে আরো বলেন, পুলিশ নির্বিচারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। ইতোমধ্যে ৭৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। ৪০০ নেতাকর্মীর নামে ও বেনামে, এক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলা-হামলার কারণে নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমি গণসংযোগে বের হতে পারছি না।

লিখিত বক্তব্যে মমিনুল হক বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে কারচুপির মাধ্যমে এবং ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। সন্ত্রাস ও প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি জয়ী হতে চান। কিন্তু হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মানুষ তা মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচো বাজারে গণসংযোগস্থল থেকে ১৯জন নেতাকর্মীকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতে ১৭ জন নেতাকর্মীকে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের আগের একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলে পাঠায়। এর মধ্যে একজন ভাতাপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী রয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজিরগাঁও, সুহিলপুর ও ছয়ছিলা গ্রামে এসআই জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পুলিশ তার গণসংযোগ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১৫ ডিসেম্বর শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের লোটরা বাজারে গণসংযোগে আসা নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা করে। এ সময় ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম হয়।

মমিনুল হক বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লিখিত বিষয়ে বক্তব্য রাখি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার প্রচারণার ক্ষেত্রে সমঅধিকারের বিষয়ে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন হয়নি। কারণ ১৮ ডিসেম্বর হাজীগঞ্জের গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়ন ও শাহরাস্তি দোফল্লা বাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা করে। ওই স্থান থেকে চারজন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌরমেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, এম এ রহিম পাটওয়ারী, আবু সুফিয়ান রানা, এম এ নাফের শাহসহ বিএনপি নেতারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ