Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রেফতার আতঙ্কে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় ক্ষোভ বাড়ছে

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে তাজ উদ্দীন | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে চলছে গণগ্রেফতার। বিশেষ করে স্কুল-মাদরাসার শিক্ষকদের গ্রেফতারের কারনে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ লাখ্য করা যাচ্ছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের নিরপরাধ শিক্ষকদের গ্রেফতারের জন্য নিন্দা প্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। লোহাগাড়ার আধুনগর স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার হওয়ার পর ওই স্কুলের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান তার পেইজবুকে উক্ত শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীদের ছবি আপলোড দিয়ে লিখেন, প্রিয় স্যারের সেই হাসিটা মনে পড়ে যায়, স্যারের মত মানুষ হয় না। এমডি হেলাল উদ্দীন ও যায়েদ ইকবাল লিখেন প্রান প্রিয় স্যার নির্দোষ। আমি তার মুক্তি কামনা করছি,স্যারের জন্য সকলের দোয়া চাই। কলাউজান খদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মাদরাসা শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারের পর তার এক প্রাক্তন ছাত্র মামুন আব্দুল্ল্হা লিখেন, আমার প্রিয় স্যার শাহ জাহাঙ্গীর আলমকে বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে কোর্টে চালান করে দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও মুক্তি দাবী করছি। পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অধিকাংশ স্কুল ও মাদরাসা শিক্ষক। এলাকায় তাদের হাজার হাজার ছাত্র রয়েছে। যার কারনে বিনা কারনে তাদের গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা গেছে।
জানা গেছে গত ৭ দিনে সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনসহ এই আসনের দুটি থানার অন্তত ৭৬ জন ধানের শীষের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরীর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিনকে।

একাদিক সুত্রে জানা গেছে, নির্দ্দিষ্ট কিছু থানার দালালদের দেওয়া তথ্য মতে এলাকার মানুষদের পুলিশ গ্রেফতার করে গায়েবী মামলার আসামি করে আাদালতে চালান করে দিচ্ছে। থানার দালালগন এ সুযোগে নিজেদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। যার কারনে গণগ্রেফতারে নিরীহ মানুষই বেশী ফেঁসে যাচ্ছে। বর্তমানে গ্রেফতারাতঙ্কে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার বিভিন্ন এলাকা পুরুষশুণ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের পোস্টার ছেড়া, প্রচার গাড়িতে হামলা করে মাইক ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের ভয়ে এলাকায় ধানের শীষের তেমন প্রচারণা না চললেও এই গণগ্রেফতারের কারনে আ.লীগের জনসমর্থনে ধ্বস নামতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ