Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে প্রার্থী কারাগারে প্রচারণায় সরব সক্রিয় কর্মীরা

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ও কাশিপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও-২ আসন। বিশ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে গত বুধবার জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঠাকুরগাঁও জেলা আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী ছিলেন এবং বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিপরীতে জয়ী হন আ.লীগের প্রার্থী দবিরুল ইসলাম। অভিযোগ রয়েছে তাকে ওই নির্বাচনে ‘কারচুপি’র মাধ্যমে পরাজিত করা হয়। এ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আব্দুল হাকিমের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা ও গণসংযোগে নেমেছেন তার কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একাধিকবার দল ও জোট থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে লড়াই করায় এলাকায় মাওলানা আব্দুল হাকিমের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় বেড়েছে। হামলা-মামলা ও নির্যাতন উপেক্ষা করে তিনি প্রায় বিশ বছর ধরে এলাকাবাসীর মাঝে কাজ করে চলেছেন। হরিপুর উপজেলায় কয়েকটি মসজিদ, এতিমখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করেছেন মাওলানা আব্দুল হাকিম। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন বহু প্রতিষ্ঠান। কাঁচা রাস্তায় নিজ খরচে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটি দেয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থী ও এতিমদের বিয়ে-শাদিতে সহযোগিতা এবং বিভিন্ন স্থানে বিশুদ্ধ পানির নলকূপও স্থাপন করেছেন তিনি। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এলাকায় তার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বহু ব্রিজ-কালভার্টও নির্মাণ করেছেন। তার এসব জনকল্যাণমূলক কাজকর্ম এলাকায় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।
একজন সৎ, সদালাপী ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মাওলানা আব্দুল হাকিম। তিনি ১৯৯১ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে ১৭ হাজার ২৮৮ ভোট, ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বনিদ্বতা করে পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ৯৩৩ ভোট, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫৭ হাজার ১৯৬ ভোট এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৮ হাজার ৪৫৬ ভোট পেয়েছিলেন।
রাজনৈতিক মামলায় বহুদিন কারাবরণ করলেও জামিনে ছাড়াও পান। সম্প্রতি ‘নাশকতা’র মামলায় ফের প্রায় এক মাস জেলখানায় বন্দী আছেন। তবে তার পক্ষে প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন তার পরিবারের সদস্য, নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ