বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ৭ জন প্রার্থীর সবাই রয়েছেন ব্যাপক প্রচারণায়। ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি দোয়াও চাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে ভোটারদের মুখে মুখে উঠে এসেছে তিনজন প্রার্থীর নাম। সর্বত্রই চলছে তিন প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের আলোচনা। তারা হলেন- মহাজোট মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মনোনীত মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন হিরো আলম (সিংহ)। ভোটাররা জানিয়েছেন, তারা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের। দুই উপজেলায় তার পূর্বের ভোট ব্যাংক অক্ষত রয়েছে বলে দাবি করছেন কর্মী-সমর্থকরা। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইছেন। ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন দাবি করে আগামীতে এ ধারা এগিয়ে নিতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনরায় তাকে নির্বাচিত করার আহবান জানাচ্ছেন রেজাউল করিম তানসেন। তার সঙ্গে প্রচারণায় মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ, জাসদসহ মহাজোটের নেতাকর্মীরা। বগুড়া-৪ আসনে নির্বাচনের মাঠে বেশ শক্তিশালী প্রার্থী তিনি।
এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মোশারফ হোসেন। ভোটের মাঠে তার সাথে বিএনপি ও জামায়াতের একটি অংশ প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। তবে বিএনপি জোটের একটি বড় অংশকে এখনো প্রচারণায় মাঠে নামতে দেখা যায়নি। বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি-জামায়াতের ভোট ব্যাংক পূর্বের মতই অক্ষত রয়েছে বলে দাবি করছেন ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ভোটাররা তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং বিএনপির প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবে। কর্মী-সমর্থকদের সাথে কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এবং বাজারে প্রচারণায় সরব রয়েছেন মোশারফ হোসেন।
অন্যদিকে, মহাজোট ও বিএনপির প্রার্থীর সাথে টক্কর দিতে নির্বাচনের মাঠে সিংহ প্রতীক নিয়ে সক্রিয় প্রচারণায় নেমেছেন বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হিরো আলম। তার প্রচারণায় ব্যাতিক্রম চিত্র চোখে পড়ছে। সব প্রার্থী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গেলেও ভোটাররা ছুটে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের কাছে। তরুণ ও যুবক ভোটারদের মাঝে এই প্রার্থীকে নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে। প্রচারণার সময় হিরো আলম যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানকার ভোটারদের কাছে একটি কথাই বারবার তুলে ধরছেন। তিনি বলছেন, আমি এমপি হতে আসিনি, এসেছি আপনাদের এমপি বানাতে। আমি এমপি হলে জনগণ এমপি হবে। প্রজাদের রাজা বানাতে এসেছি। আমি গরীবের সন্তান, গরীবের দুঃখ বুঝি। হিরো আলমের এই কথাগুলোই নাড়া দিচ্ছে ভোটারদের হৃদয়ে।
এছাড়াও সরব প্রচারণায় ভোটের মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (হাতপাখা), তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলী (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমান (টেলিভিশন)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।