Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নারায়ণগঞ্জে ৪ শিশুসহ দগ্ধ ৯

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নারায়ণগঞ্জে আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র বর্মনের পরিবারের ৪ জন। এবং ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা বর্মনের মা-বোন ও বোন জামাইসহ ৫ জন। অগ্নিদগ্ধ রা হলেন, শ্রী নগর নাথ চন্দ্র বর্মণ (৩৫), তার স্ত্রী মতি অর্চনা (৩০), তাদের মেয়ে অনামিকা (১৫), ছেলে অর্পিত (১০), বর্মণের মা ছায়া রানী (৬০), বোন সুমিত্রা (২৭), সুমিত্রার ছেলে প্রমিত (১৪) ও শাওন (১০), সুমিত্রার স্বামী নারায়ণ চন্দ্র (৪০)। অগ্নিদগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে শিশু অনামিকা, অর্পিত, শাওন, প্রমিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পাওয়া গেছে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার ফতুল্লার কোতালের বাগ হক বাজার এলাকায় জাকির হোসেনের মালিকাধীন ফেরদৌসী মঞ্জিলের ৩য় তলায়। বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, নারায়ণচন্দ্র বর্মন তার পরিবার নিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। বর্মন তার স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন। সোমবার বর্মনের মা-বোনসহ ৫ জন বেড়াতে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই এলাকার আবেদ নামের এক ব্যক্তি জানান, শেষ রাতে চিৎকার শুনতে পাই। আশপাশের লোকজন অনেকেই উঠে আসে। পরে জানতে পারি ফেরদৌসী মঞ্জিলে আগুন লাগছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসার আগেই এলাকাবাসি আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিস এণ্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাবার আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলে স্থানীয়রা। তবে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ফ্ল্যাটের রান্না ঘরের জানালা খোলা পেয়েছি। আবার যে কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেখানে মশার কয়েল জ¦ালানোর আলামত পাওয়া গেছে। প্রতিবেশিদের কেউ বলছেন মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, আবার কেউ বলছেন গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিলো। এ কারণে ভোরে চুলা জ¦ালাবার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুটো বিষয়কে মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৯ জন দ্বগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হতাহতদের কেউ মারা যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশুসহ দগ্ধ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ