বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা শহরের অদূরে চরকোমরপুরের পদ্মাকোলে বর্ষার সময় ভারত থেকে ভেসে আসা বিরল প্রজাতির কুমিরটি আত্মগোপন করেছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন ন্থানে জাল ফেলে কুমিরটিকে পাওয়া যায়নি। টানা দুই দিন ধরে চলা উদ্ধার কার্যক্রম অবশেসে স্থগিত করা হয়েছে। পাবনা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলো কিলোমিটার দূরে দোগাছি ইউনিয়নের চরকোমরপুর গ্রামে পদ্মা কোলে কুমিরের দেখা পেয়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। প্রায় ৬ফুট দৈর্ঘ্যরে কুমিরটি খাদ্য সংকটে হিংস্্র হয়ে ওঠায় বিপাকে পড়েন গ্রামের কৃষি ও মৎসজীবীরা। এই খবর দৈনিক ইনকিলাব-এর অন লাইনসহ দেশের জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ ও টিভি মিডিয়ায় প্রচারিত হলে বিবিসি বাংলার বাংলা নিউজে প্রচার করা হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা জানান এই প্রজাতির কুমির বাংলাদশের নদ-নদী থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিরল প্রজাতির এই কুমির বর্ষার সময় পদ্মা নদী দিয়ে ভারত থেকে এই স্থানে চলে এসেছে বলে তাঁরা ধারণা করেন। পাবনা সদর থেকে ১২ কিলো মটিার দূরে পদ্মা নদী শুকিয়ে যাওয়ার পরে চরের মাঝে তৈরী হওয়া একটি হ্রদের মতো স্থানে কুমিরটি আশ্রয় নেয়। হিং¯্র কুমির একটি জেলে নৌকায় আক্রমণ করলে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে চাউড় হয়ে যায়। কুমির ভীতি কাজ করতে থাকে। গ্রামবাসী কুমিরটিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষন কর্মকর্তা এ সময় জানান কুমিরটি যেখানে আছে সেটি তার জন্য নিরাপদ ,এখানে অনেক মাছ আছে। এটিকে এখানে রাখাই শ্রেয়। তারপরও গ্রামবাসী চাইলে তারা নিয়ে যাবেন। এলাকাবাসী জানিয়ে ছিলেন, কুমির আর বাঘের সাথে বাস করা যায় না। এটি নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে। আর যেহেতু বিরল প্রজাতির কুমির চিড়িয়াখানায় রাখলে ভাল হবে। প্রায় ৩ সপ্তাহ পর কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন আর কুমিরটিকে পাওয়া যাচ্ছে না। কুমিরটি কোথায় আত্মগোপন করেছে এখন সেটাও এলাকাবাসীর কাছে প্রশ্ন ? কয়েকজন বর্ষিয়ান ব্যক্তি জানান, সময়ের কাজ সময়ে না করলে যা হয়, তাই হয়েছে। কুমির আতংক থেকেই যাচ্ছে। আর কুমিরটি পদ্মায় বেয়ে তার আসার স্থানে চলে যায় তাহলে ভাল। আসলেও এটিও নিশ্চিত নয়, বিরল প্রজাতির এই কুমিরটি বর্ষার সময় ভারত থেকে ভেসে এসেছিল। হয়তো বিশাল পদ্মা নদী অথবা এর কোন বড় শাখা নদীতে বিরল প্রজাতির কুমিরটি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে টিকে ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।