Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ধানের শীষে ভোট দেয়া নৈতিক দায়িত্ব

কুমিল্লায় ড. মোশাররফ

চান্দিনা (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১০ এএম

কুমিল্লার হোমনা উপজেলা প্রশাসন হঠাৎ করে ১৪৪ ধারা জারীর মাধ্যমে চান্দেরচর ইউনিয়নের বাঘের বাজার ও রামকৃষ্ণপুরের বিএনপির ২টি সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বক্তৃতা করতে পারেননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, কুমিল্লা-১ ও ২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

হোমনা উপজেলা বিএনপির আবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ইউএনও বাঘের বাজার এবং রামকৃষ্ণপুরে সমাবেশ করার জন্য লিখিত অনুমতি দেন। স্থানীয় আ.লীগ একই স্থানে সমাবেশ করতে চায়, এই অজুহাতে ইউএনও গতকাল মঙ্গলবার পুরো চান্দেরচর ইউনিয়নে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এতে বিএনপি কোন সমাবেশ করতে পারেনি। ১৪৪ ধারা জারি করায় বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন হোমনা সহকারী রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তিনি আ.লীগের হয়ে কাজ করছেন। ইউএনও’র দ্বৈতনীতি এবং উদ্দেশ্যমূলক ১৪৪ ধারা জারী করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারের পক্ষপাতিত্ব আচরণে এটা পরিষ্কার যে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা? এ নিয়ে জনগণ শঙ্কিত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ড. মোশাররফ কুমিল্লা-২ আসনের হোমনা উপজেলার ঘাগুটিয়া ও দুলালপুর ইউনিয়নে গণসংযোগকালে দড়িরচর বাজার, দুলালপুর, মাধবপুর বাজার ও দৌলতপুরে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত পথসভায় বক্তৃতা করেন।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, উন্নয়ন, শান্তি ও ভোটের অধিকার ফিরে পেতে ধানের শীষে ভোট দেয়া জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। বিএনপি অতীতে জনগণের সাথে ছিল, বর্তমানেও আছে, ইনশাআল্লাহ আগামী দিনেও থাকবে। তিনি বলেন, বিএনপি এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং উন্নয়ন উৎপাদনের রাজনীতি প্রবর্তন করেছে। অন্যদিকে আ.লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে, গণতন্ত্র ধ্বংস করে এবং জনগণের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়। তাদের কাছে অতীতে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার ও জানমাল সুরক্ষিত ছিল না, এখনও নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবেনা। বিএনপির নীতিনির্ধারক এই নেতা বলেন, দেশে সর্বত্র ধানের শীষের জোয়ার বইছে। ধানের শীষের প্রবল জনস্রোত দেখে সরকার চরম হতাশাগ্রস্ত। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে তারা নানা পাঁয়তারা করছে।

ড. মোশাররফ বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ধানের শীষ জনগণের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থলরূপে আবির্ভূত হয়েছে। মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণে ধানের শীষের বিকল্প নেই। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে হুমকি ধামকি উপেক্ষা করে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে দেশপ্রেমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, তারা দেশের অর্থনীতি ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। ব্যাংক লুট, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ধান্ধাবাজি করে দেশকে অনেক পেছনে ঠেলে দিয়েছে। আইনের শাসন নেই, জানমালের নিরাপত্তা নেই। এইভাবে দেশ চলতে পারে না ড. মোশাররফ ‘উন্নয়ন ও শান্তির প্রতীক’ ধানের শীষে ভোট দিতে এবং ভোট রক্ষার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক মো.আক্তারুজ্জামান, হোমনা উপজেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, হোমনা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক মুকুল প্রমূখ।



 

Show all comments
  • তানভীর আহমাদ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫২ এএম says : 1
    আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ দশ বছরে একবারও বাংলাদেশকে দূর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানাতে পারে নাই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তো দূরের কথা, শীর্ষ দশ দূর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়ও বাংলাদেশের নাম তুলতে পারে নাই। বিশ্বের কথা বাদই দিলাম এমনকি এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ পাঁচ দূর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায়ও বাংলাদেশের নাম তুলতে পারে নাই। অথচ, বিএনপি-জামাত সরকার অত্যন্ত কষ্ট করে সফলতার সাথে বাংলাদেশকে দূর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে রেখে গিয়েছিল। বিএনপির সমগ্র অর্জন এই আওয়ামী সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই দূর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার স্বার্থে ধানের শীষে ভোট দিন
    Total Reply(1) Reply
    • Md Harun Rashid ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫২ এএম says : 4
      তানভীর আহমাদ আওয়ামীলিগ কিন্তু এবার দুর্নীতিতে ২ নাম্বার হয়েছে। এই খবরটা কষ্ট করে গোপন রাখতে চেয়েছিলে তাই না।
  • Mostafa Kamal ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৪ এএম says : 0
    I don’t know about that, if you come to power always work for the people not for the party.
    Total Reply(0) Reply
  • Angel Lamia ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৭ এএম says : 0
    দেশের বিবেকবান মানুষ কেন কিছু বলছে না।সারা দেশে বিএনপি কর্মীদের উপর হামলা,গ্রেফতার চলছেই। তাহলে নির্বাচন দেয়ার কি দরকার ছিল? এই দেশে কি আর শান্তি আসবে না?এই অনাচার আর কত?। মনে হচ্ছে এটা ১৯৭১ সাল।আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অত্যাচার করছে।সেনাবাহিনী রাস্তায় নামা উচিৎ দ্রত।আওয়ামী লীগের যে সকল কর্মী হামলা করছে,তাদের বিচার করা উচিৎ। ভাল নির্বাচন হোক।যে দল জিতবে,সেই দল ক্ষমতা নিক।দেশে শান্তি আসুক
    Total Reply(0) Reply
  • SB Shahed ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:৫৭ এএম says : 0
    তা আমরা জানি স্যার,, কিন্তু কি করবো ভোট দিতে পারছি না
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৩৫ পিএম says : 0
    আওয়ামীলিগ তো ৫ বছর তাদের পেট ভরেছে, এই ৫ বছর উন্নয়ন করেছে কিন্তু গণতন্ত্র লুট করেছে, সাধারণ মানুষ হক কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না, বাক স্বাধীনতা হরন করিতেছে, তাই জাতীর কাছে আমার আহ্বান তোমরা মার্কা না দেখে সৎ, যোগ্য পার্থী কে নির্বাচিত করে, সংসদে জনগনের স্বার্থে সংবিধান পরিচালনা করেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ