Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হতাশায় ইলিয়াস অনুসারীরা

ফয়সাল আমীন ও মিসবাহ উদ্দীন আহমদ : | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১০ এএম

নানা কারণে দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় সিলেট-২ আসন। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর দুই উপজেলা নিয়ে এ আসন। এ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। বিএনপি ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাকে গুম করা হয়েছে।

২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাত দেড়টায় ঢাকার বনানী থেকে অপহৃত হন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর এলাকার বিএনপির হাল ধরেন তাঁর সহধর্মীনি তাহসিনা রুশদীর লুনা। লুনাকে দেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ। পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তাকে দেয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। তিনিই ছিলেন দলের একমাত্র প্রার্থী। কিন্তু তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়নপত্র স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তাই নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। এ কারণে হতাশ হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের বেশিরভাগেরই মন খারাপ করে থাকতে দেখা গেছে। তাদের কেউই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। সরকারের ইচ্ছাতেই তাহসিনা রুশদীর লুনাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও স্বৈরাচারি আচরণ। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাহের ইবনে দিদার লস্কর ইনকিলাবকে বলেন, আমরা এ আদেশ মানিনা। এটা সরকারি ইন্ধনে দেয়া হয়েছে। সরকার ধানের শীষকে ভয় পেয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি আপিল বেঞ্চের ‘নো অর্ডার’ আদেশের বিপরীতে রিভিউ করা হবে।

এদিকে ইলিয়াস আলীর অনুসারী সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা বলেন, আমরা এ রায় কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। এটি অগণতান্ত্রিক। সরকার ধানের শীষের প্রার্থীদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করছে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। আদালতে লুনার পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ। ওই আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। যে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করেন লুনা। হাইকোর্টে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মফিকুল ইসলাম বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। হাইকোর্টের আদেশের পরে মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আদালত তার (লুনা) মনোনয়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।



 

Show all comments
  • Muhamod Saed ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৪ এএম says : 0
    বিচারপতিরা 15/20 কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে এই রায় দিয়েছেন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammd Rayhan ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৫ এএম says : 0
    যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট হবেন।” [সূরা ত্বলাক- ৩]
    Total Reply(0) Reply
  • Mohi Uddin ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৫ এএম says : 0
    যারা গুম, খুন নির্যাতিত হয়েছে তাদের পরিবারের কাউকে নির্বাচন করতে দিচ্ছেনা। চকরিয়ায় ভারতে নির্বাসিত নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ এর বউ ভোটে দাঁড়ালে ও প্রচারনা চালাতে দিচ্ছে।। সরকার ভোট ডাকাতী করবে নিশ্চিত।। কোর্ট কাচারী সব সরকারের নিয়ন্ত্রনে।। জাতির কাছে প্রধান মন্ত্রীর ওয়াদা বেঈমানী হলে ভোট ডাকাতী হলে??
    Total Reply(0) Reply
  • মেঘলা সকাল ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৭ এএম says : 0
    Bnp k nirbachan korte dibe kina sesh mesh allah janee
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম চঞ্চল ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৭ এএম says : 0
    এক কথায় বলে দিলেই তো পারে যে বি এন পি নির্বাচন করতে পারবেনা ব্যাস শেষ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mizan ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:১৯ এএম says : 0
    সত্যর জয় হবেই
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ