বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, রাজাকারের দোসররা সাধারণ মানুষকে গুজব রটিয়ে বিভ্রান্ত করে। তারা সব সময় অপপ্রচারে লিপ্ত। এরা একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। সাধারণ মানুষের সাথে এদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। এরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোন প্রকার অর্জন নেই। নিষিদ্ধ একটি দল এখন আপনাদের নিকট ভোট চাইতে এসেছে। এদের নিজেদের কোন মার্কা নেই। তারা অন্যদলের মার্কা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দিনব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা জ্বালাও পোড়াও করে মানুষ হত্যা করেছে যারা মানুষের বিপদে এগিয়ে আসেনি, যারা গত ১০ বছর মানুষের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক রাখেনি তাদের কি কারণে ভোট দিবেন ? যারা চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে বেঈমানী করেছে তাদের চৌদ্দগ্রাম বাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ভোট পাওয়ার মতো কোন প্রকার যোগ্যতা রাখেনা। তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
মুজিবুল হক আরো বলেন, জামাতের নিজস্ব কোন যোগ্যতা কিংবা অস্তিত্ব নেই যার কারণে বর্তমানে তারা বিএনপি কাঁধে ভর করে রাজনীতিতে নেমেছে। এরা একসময় চৌদ্দগ্রামবাসীকে ধর্মের দোহাই দিয়ে ভোট চাইতে আসতো তারা নির্বাচিত হয়ে যখন ধর্মের জন্য কিংবা ইসলামের কল্যাণে কিছু করেনি। তাই তারা এখন জনগণের নিকট প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার ভয়ে তারা এখন ধর্মের কথা বলেনা। এখন তারা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে ভোট চাইছে। চৌদ্দগ্রামেও একজন জামাতের নেতা ধানের শীষ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে এসেছে। তবে আপনাদের বলে রাখি এদের মানুষের কাছে ভোট চাওয়ার মতো কোন প্রকার অর্জন নেই।
তারা অতিতে নির্বাচিত হয়েছিলো চৌদ্দগ্রামের মানুষের ভোট নিয়ে। নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের মানুষের কল্যাণে কোন উন্নয়ন করেনি। বরং চৌদ্দগ্রামের মানুষের সাথে ধোঁকাবাজি করেছে। চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। এরা মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছিলো মানুষকে ভোট কেন্দ্রে যেতে দিতো না। এরা আওয়ামীলীগ কর্মীদের প্রকাশ্যে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছিলো।
পথসভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, এলজিইডির সাবেক চিফ ইঞ্জিনিয়ার কুমিল্লা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ওহিদুর রহমান মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদার, শুভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মুজুমদার, কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, শুভপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর কবির মজুমদার আলম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন মজুমদার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমূখ। মন্ত্রী সকাল থেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের পোটকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাদৈর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাজারীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, গোবিন্দপুর সামছুল হুদা মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্র, উনকুট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাদঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র ও ধনিজকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পথসভা ও গণসংযোগ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।