বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নানা কারণে দেশের রাজনীতিতে আলোচনায় সিলেট-২ আসন। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর এই দুই উপজেলা নিয়ে এই আসনটি। এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাকে গুম করা হয়েছে।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাত দেড়টায় ঢাকার বনানী থেকে অপহৃত হন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ি চালক আনসার আলী। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর এলাকার বিএনপির হাল ধরেন তাঁর সহধর্মীনি তাহসিনা রুশদীর লুনা। লুনাকে দেয়া হয় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ। পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তাকে দেয়া হয় দলীয় মনোনয়ন। তিনিই ছিলেন দলের একমাত্র প্রার্থী। কিন্তু তাহসিনা রুশদীর লুনার মনোনয়নপত্র স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তাই নির্বাচন থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। এ কারণে হতাশ হয়েছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তাদের বেশিরভাগেরই মন খারাপ করে থাকতে দেখা গেছে। তাদের কেউই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না। সরকারের ইচ্ছাতেই তাহসিনা রুশদীর লুনাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও স্বৈরাচারী আচরণ। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
সিলেট জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক তাহের ইবনে দিদার লস্কর ইনকিলাবকে বলেন, আমরা এ আদেশ মানিনা। এটা সরকারী ইন্ধনে দেয়া হয়েছে। সরকার ধানের শীষকে ভয় পেয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনাকে নির্বাচনে থেকে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছে। আমি জানতে পেরেছি আপিল বেঞ্চের ‘নো অর্ডার’ আদেশের বিপরীতে রিভিউ করা হবে।
এদিকে ইলিয়াস আলীর অনুসারী সিলেট জেলা ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা বলেন, আমরা এ রায় কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। এটি অগণতান্ত্রিক। সরকার ধানের শীষের প্রার্থীদের সাথে বিমাতাসূলভ আচরণ করছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তাহসিনা রুশদীর লুনার করা আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে তিনি আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। আদালতে লুনার পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ।
ওই আসনের মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহহিয়া চৌধুরীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার মনোনয়নপত্রের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। যে আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করেন লুনা।
হাইকোর্টে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মফিকুল ইসলাম বাবুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। হাইকোর্টের আদেশের পরে মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আদালত তার (লুনা) মনোনয়ন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।