Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহী ১ আসনে দুদিনের বৃষ্টিতে লাগানো পোস্টার ভিজে শেষ

নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ২ হেবিওয়েট প্রার্থী ফারুক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১:২৭ পিএম

রাজশাহী ১ আসনের নির্বাচনী মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন ২ হেবিওয়েট প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীক ও ব্যারিস্টার আমিনুল হক ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ২ দিনের বৃষ্টিতে লাগানো পোস্টার, ব্যানার ভিজে শেষ নতুন করে আবার পোস্টার, ব্যানার লাগাতে হবে বলে উভয় নেতা কর্মীরা মনে করছেন, কেনা না ভোটের এখনও অনেক দিন বাকী। সে যাই হউক না কেন ? সব নির্বাচনে শান্তি প্রিয় গোদাগাড়ী তানোর উপজেলা এলাকাবাসী। তেমন কোন মারামারি, ঝামেলা হয় না নির্বাচনের সময়। রাজনৈতিক হিংসামূলক মামলা নেই বললেই চলে। সবাই নিজের পছন্দের প্রার্থীর পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার সাটাচ্ছেন, প্রার্থীর উন্নয়ন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সুনামসহ লিফলেট বিতরণ করছেন, ক্যাম্পিং করছেন। তবে বিএনপির প্রার্থী ব্যারি. আমিনুল হক অভিযোগ করেছেন লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং নিয়োগ করা হয়েছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না, লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচনে তাদের অভিযোগ করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ট বজায় রয়েছে বলেই ব্যারি. আমিনুল হক নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। আমরা বাধা দিলে তারা নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারবে না। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, তাদের অভিযোগ গুলি সঠিক নয় তবে ২৭ জন প্রিজাইডিং অফিসারের ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন সেটাও সঠিক নয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজবাড়ী কলেজের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান প্রিজাইডিং অফিসারদের দায়িত্ব করবেন তাদের দলীয় পরিচয় সঠিক আছে তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ সুজাউদ্দিন ও রাজবাড়ী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সেলীমরেজার কোন আমাদের দলের পরিচয় নেই। তবে কাকে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং করবেন এটা নির্বাচন অফিসার, রিটার্নিং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের ব্যাপার। এখানে আমাদের দলের কোন হস্তক্ষেপ নেই। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল বলেন, রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় আমাদের লাগানো পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে, নেতা কর্মীদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, আমাদের প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সামনে মিছিল করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ দলীয় পরিচয় উল্লেখ করে ২৭ জন প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে তার কোন প্রতিকার পাচ্ছিনা। রাজশাহী ১ আসন টি ভিআইপি আসন হিসেবে পরিচিত, এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান সে দল সরকার গঠন করেন এবং মন্ত্রী পরিষদে স্থান পেয়েছেন শুধু বর্তমান সংসদে দুর্ভাগ্যক্রমে মন্ত্রী বঞ্চিত ছিলো রাজশাহী Ñ১ আসনেটি। এ আসনটি গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভা রয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩শ ৫২ জন। তাঁদের মধ্যে নারী ১ লাখ ৯২ হাজার ৭শ ২৩ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৬১৯ জন। রাজশাহী-১ আসনে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। এবার বড় দুই জোটের প্রার্থী হেভিওয়েট, তাদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে, তার সাথে যোগ হবে আওয়ামীলীগ, বিএনপির, জামায়াত সমর্থক ভোট ও ভাসামান ভোট। ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১ বছর থেকে সেভেন স্টার সরব থেকে কাজ করলেও প্রধান মন্ত্রীর খোলা চিঠি, রাজশাহীতে সেভেন স্টার, বিদ্রোহীদের নিয়ে সমাবেশ ও প্রতিজ্ঞা করার পর গোদাগাড়ীতে একটি নির্বাচনী সভা করার পর থেকে সেভেন স্টারের নেতারা নৌকাকে বিজয়ী করতে একজোট হয়ে কাজ করছেন। যাদের বেশী ক্ষোভ আছে তারা যদি ভিতরে ভিতরে উল্টা থাকে তবে নৌকা প্রতীকের জন্য ব্যপক ক্ষতি হবে পারে। সেটা হবার কথা নয় বলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা বিশ্বাস করছেন। অপর দিকে দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সাথে যারা ছিল তাদের বেশীর ভাগই দল পরিবর্তন করেছেন, আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন এবং সুবিধা অব্যাহতভাবে ভোগ করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন কাঁকনহাট পৌরসভার মেয়র, গোদাগাড়ী বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মজিদ মাস্টার, গোদাগাড়ী পৌর বিএনপির সাবেক সহঃ সাধারণ সম্পাদক শারওয়ার জাহান ডাবলু চৌধুরী, গত উপজেলা বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম কামরুজ্জামান বকুলসহ ডজন খানিক হেবী ওয়েট নেতা। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট নিজ বাড়ীতে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির হাতে হাত দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন বিএনপির সাবেক সভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইসহাক, তাই নির্বাচনী প্রচারনায় নেতা সংকটে পড়তে পারেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন যারা চলে গেছেন তারা ছিল সুবিধাবাদী, তারা দলের জন্য ক্ষতিকারক ছিল। সমূদ্র থেকে ৮/১০ বালতি পানি উঠানে সমুদ্রের পানির কমতি হয় না যেমন তেমনী বিএনপি বড় দল এখান থেকে ওই রকম ১০/১২ জন সুবিধাবাদী নেতা চলে গেলে দল আরও শক্তিশালী হবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি। আর বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক ডাক ও টেলিযোযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক। ভোটারেরা বেশ হিসেব নিকাশ শুরু করেছেন কাকে বেছে নিবেন। ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও তার নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াত জোট থাকাকালীন সময়ে যে ব্যপক উন্নয়ন করেছিলেন সেটাকে পুজি করে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাই আর বর্তমানসহ মহাজোট সরকারের বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন ও সাফল্যকে পুজি করে ভোটারদেও মন জয় করাতে চাই। আর নির্বাচনী বিশ্লেষকগন মনে করেন প্রার্থী, নেতা, কর্মীগনকে খুবই কৌশলী হতে হবে এবারের নির্বাচনে । তারা আরও মনে করেন, বাংলা ভাই, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ইস্যু করে বিএনপি প্রার্থী ব্যারি. আমিনুল হককে নির্বাচনী মাঠে বেকায়দায় ফেলতে পারেন অপর দিকে বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে কিছু অসৎ ইউপি চেয়ারম্যানদের উৎকোচ নিয়ে ভিজিডি, ৪০ দিনের কর্মসূচি, বিভিন্ন ভাতা, বিভিন্ন কার্যক্রম করেছেন তাদের জন্য নির্বাচনী মাঠে বিবৃতকর অবস্থার সৃষ্টি করতে পারেন। তারা আরও বলেন, কিছু অসৎ নেতা শিক্ষক, অধ্যক্ষ, ডিপ ড্রাইভার, নাইডগার্ড নিয়োগে মোটা অংকের নিয়োগ বানিজ্য করেছেন, কৃষকের হক নষ্ট করে সরকারী খাদ্য গুদামে গম, চাউল নিজেরাই গুদামজাত করেছেন, অঙ্গল ফুলে কলাগাছ তার পর বটবৃক্ষ হয়েছেন, তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার করলে ভোট নষ্ট হতে পারে বলে তারা মনে করেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভবন, রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ সরকারী করণ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে সে উন্নয়নকে ভোটদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলেই নৌকা প্রতীক, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পচ্ছন্দের প্রার্থী ভোটের মাঠে বেশী সুবিধা পেতে পারেন নির্বাচন বিশ্লেষতগন মনে করেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী, ব্যারি. আমিনুল হকের বড় ভাই সাবেক আইজিপি মোঃ এনামুল হককে ১৭ হাজার ৩শ ৩৬ ভোটে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী বিএনপি ভোট বর্জন করায় বিনা প্রতিদ্বনিদ্বতায় এমপি হন তিনি। এবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। এ আসনটি থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই বড় দলের মনোনীত প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের মন্ত্রী জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান। প্রথম ও সর্বশেষ সংসদে আওয়ামী লীগের এমপিরা এই আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করলেও যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়ায় এ আসনে শক্ত অবস্থান তৈরী করছে বিএনপি। দলের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হক এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার এমপি হন এ আসন থেকে। এর পর দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন এই সাবেক সাংসদ ব্যারিস্টার আমিনুল হক। তখন তিনি নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন। স্বাধীনতার পর থেকে ১৯৮৬ সালে ৭ মে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে জামায়ের প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমান এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে এখানে এমপি নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোহসীন। যিনি বর্তমানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত আমীর। এরপর ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৪র্থ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ দুরুল হুদা এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ সাল থেকে পাল্টে যায় এখানকার রাজনৈতিক দৃশ্যপট। ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংস্থাপন, আইন প্রতিমন্ত্রী, হিসেবে ঠাঁই পান খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায়। ব্যারিস্টার আমিনুল হক ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের পয়লা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন। ফলে একটানা তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়ার সরকারের দুই মেয়াদেই তিনি প্রথমে প্রতিমন্ত্রী এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ফারুক চৌধুরী ২০০১ সালের নির্বাচনে আমিনুল হকের কাছে হেরে যান। তবে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমিনুলের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়, মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৯টি । এতে গ্রেফতার এড়াতে তিনি আত্মগোপন করেন। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারায় বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন তার বড় ভাই সাবেক আইজিপি মোঃ এনামুল হক। তিনি ফারুক চৌধুরীর কাছে হেরে যান। নৌকার প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এর সুফল পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবারো নৌকায় ভোট চান ফারুক চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলায় ও কৃষিতে ভুর্কক্তির কারণে সারের দাম কম হওয়ায় গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে গেছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা রাখতে, ২০২১ ইং সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে এলাকার মানুষ নৌকায় ভোট দিবেন। এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরা নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করেছি, নেতা কর্মী সমর্থকেরা মাঠে কাজ করছেন। আওয়ামীলীগ দলীয় বিবেচনায় প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক, গোদাগাড়ী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান, সহসভাপতি কাঁকনহাট কলেজের অধ্যক্ষ সুজাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজাবাড়ী কলেজের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামানসহ দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ২৭ জন প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে জেলা রিটারিং অফিসার, গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী রিটানিং অফিসারের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু তার প্রতিকার পাচ্ছিনা। লেভেল প্লেয়িইং ফিল্ড এখনও তৈরী হয় নি, লাগানো পেস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। আমি মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে গোদাগাড়ী Ñ তানোর উপজেলাসহ রাজশাহী অঞ্চলের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভাট, পদ্মা নদীর বাঁধ নির্মান করেছি, নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, মসজিদ, মন্দির গ্রীর্জায়, অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলাম, যা সংস্কার অভাবে এখন অবহেলিত, উন্নয়ন হয়নি, তাই এলাকার মানুষ পরিবর্তন চাই, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে, গণজোয়ার সৃষ্টি করবে। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ, গ্রহন যোগ্য নির্বাচন হলে, ভোটারেরা নিজের ইচ্ছা মত ভোট দিতে পারলে ইসাল্লাহ ধানের শীষের প্রার্থী বিশাল ভোটের ব্যবধানে পূর্বের মত বিজয়ী হবেই। প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষের নেতা কর্মীরা যাই ভাবুক না কেন ? সচেতন, শিক্ষিত ভোটারেরা মনে করেন এ আসনে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মাঝে। এ লড়াই দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ