Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জোর-জুলম করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না সরকার

ভোলা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

প্রচার প্রচারণায় বাধা, নেতা কর্মীদের গ্রেফতার, বিএনপি কর্মী ও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়াসহ ভোলা- ৩ আসন ও সারা দেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ভোলার লালমোহনে তার নিজ বাসায় গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। এ সময় তিনি বলেন আমি এ এলাকার ৬ বার নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ছিলাম, মন্ত্রী ছিলাম। তখন এ এলাকা ছিল শান্তির জনপদ। ২০১০ সালে এখানে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনওই নিরপেক্ষ হয় না। তারপর থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস, নির্যাতন, লুটপাট শুরু হয়ে গেছে।

সরকারের তৈরি করা একটি আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। কোন সমতল পরিবেশ নেই নির্বাচনের।সারাদেশে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, গণ-গ্রেফতার চলছে। অথচ মেরুদন্ড ভাঙ্গা নির্বাচন কমিশন বলছে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আছে। নির্বাচন কশিশন সরকারের নির্দেশ পালন করে চলেছেন। তাদের খুশি করার জন্য ব্যস্ত রয়েছে। আমি আমার এলাকায় আসার কথা শুনে ঢাকা থেকেই আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। আমি লালমোহনে আসার পর ৪০ হাজার নেতা কর্মীরা আমাকে ১৩ কিলোমিটার দুর থেকে পায়ে হেটে আমাকে স্বাগত জানিয়ে নিয়ে আসে।

নেতা কর্মীরা বাড়ি যাওয়ার পথে তাদের উপর সন্ত্রাসীরা আক্রমন করে অনেককে কুপিয়ে, পিটিয়ে প্রায় ৪০/৫০ জনকে আহত করে। তাদের হাসপাতালেও চিকিৎসা করাতে পারিনা। বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। রাতের বেলায় গুলি ও বোমের শব্দ শুনা যায়। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশ্বে সরকার পদত্যাগ করে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়। অথচ এই সরকার তাদের করা সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন তাদের তৈরি করা নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন করছে। তাদের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে তিনি বলেন আপনারাও দেখছেন নির্বাচনী পরিবেশ নেই। তারপরও আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি এ জন্য যে দেশের মানুষ দেখুক, জানুক যে আওয়ামী লীগ দেশের গনতন্ত্র ধ্বংস করে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জোড় করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। জোর করে বৃটিশ, পাকিস্তানিরা ক্ষমতায় থাকতে পারে নি এ সরকারও থাকতে পারবে না। সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে ঐক্যজোট প্রার্থীরা বিপুল জনসমর্থন নিয়ে বিজয়ী হবে।

তবে সংসদ না ভাঙ্গার কারণ হিসেবে তিনি বলেন সরকার বুজতে পেরেছে তারা ক্ষমতায় থেকে যে অন্যায় অত্যাচার, করেছে তাদেরকে দেশের মানুষ আর ভোট দিবে না। বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট জিতে যাবে। তখন নির্বাচন কারচুপির অজুহাত দিয়ে তাদের সংসদ ডেকে জোর করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে মেজর হাফিজ নির্বাচন আচারণ বিধি নিয়ে বলেন একটি পৌরসভায় ২৮ টি নির্বাচনী অফিস, প্রতি ইউনিয়নে ১৫/২০ টি অফিস করে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ আমার কর্মীরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তবে আমরা আশা করি বাংলাদেশের একমাত্র ভরসারস্থল সেনাবাহিনী মাঠে আসলে নির্বাচনী পরিবেশ ভাল হতে পারে।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৫ এএম says : 0
    যাহা বলেছেন সত্য বলেছেন। কিন্ত এবার ক্ষমতালুভীদের খবর আছে কিন্ত। ইনশাআল্লাহ। ********* রুখে দাঁড়াও রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশের সন্তান।
    Total Reply(0) Reply
  • সুমি ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:০৮ এএম says : 0
    এক মাএ ভরসা সেনাবাহিনী, দেশের জন্য কিছু করলে,তারাই করে,
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ