Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় ব্যস্ত চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থীরা

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই নির্বাচনী উত্তাপ ছাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্র্ণফুলী) আসনের নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা আমেজ না থাকলেও প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।
এ আসনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ নির্বাচনী মাঠ দখল ও সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় গণসংযোগসহ সভা-সমাবেশ করে চলেছেন। তা ছাড়া নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠন, ওঠান বৈঠক, মতবিনিময়সহ প্রচারণা চালাচ্ছেন দায়িত্বশীল নেতাকর্মীরা। তবে মহাজোটের শরিক দুই ইসলামী দল নির্বাচনী মাঠে থাকায় ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা অনেকের। সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতায় আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকায় প্রায় ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। তার বিশ্বাস, জনগণ এসব কাজের মূল্যায়ন করবে।

এদিকে নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার জামাল নিজামের নির্বাচনী প্রচারণা তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। এখনো বেশির ভাগ এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার-ব্যানারও টাঙানো হয়নি। গেল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তৈলারদ্বীপ গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন নিজাম। এতে দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা ভিড় করে। এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের পেটুয়া বাহিনী প্রতিদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দিচ্ছে। নির্যাতন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ক্ষমতাসীন দল মামলা-হামলা করে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না।

অপরদিকে ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা এম এ মতিন নির্বাচনী এলাকায় জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তিনি আনোয়ারা-কর্নফুলী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে গণসংযোগ, মতবিনিময় ও পথসভা করেছেন। এ সময় তিনি জনগণের সুবিধার্থে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন। ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা এরফানুল হক চৌধুরী ও খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মৌলভী রশিদুল হকও নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। তারা নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠে গণসংযোগ, পথসভা অব্যাহত রেখেছেন। তবে নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনএফের নারায়ণ রক্ষিত ও গণফোরামের উজ্জল ভৌমিক।

নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, এ আসনে ভোটযুদ্ধ হবে মূলত প্রধান দুই দলের প্রার্থী আ.লীগের জাবেদ ও বিএনপির নিজামের মধ্যে। নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন হাটবাজার, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে নির্বাচনী পোস্টার ঝুলতে দেখা গেছে। তবে ভোটারদের মধ্যে তেমন একটা উৎসাহ-আগ্রহ দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জুঁইদণ্ডী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুলশিক্ষক বলেন, দেশের যে অবস্থা, কাজ না থাকলে বাড়ি থেকে খুব একটা বের হই না। পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোটকেন্দ্রে যাবো।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৯ হাজার ৩৯৯ জন। তার মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ২৩১ জন পুরুষ ও এক লাখ ৪৭ হাজার ১৬৮ জন মহিলা। দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ১০৬টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৬৫৬টি। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা গৌতম বাড়ৈ ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ