রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুরশাদ সুবহানী, পাবনা থেকে
দেশের মানুষ এখন আর জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন না। যাপিত জীবন থেকে বেরিয়ে আসছেন অনেকই। নানাভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলছেন। অনেকেই সৎ পথে জীবনের গতি বদলে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। কেউবা শিল্পে, কেউবা কৃষিতে। দেশে মৎস্য এখন কৃষি শিল্প। বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণা আর মৎস্য দপ্তরের পরামর্শে মৎস্য চাষিরা এগিয়ে যাচ্ছেন সফলতার দিকে। এই সকল মানুষদের অনুসরণ করে অন্যরাও এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবন প্রবাহের অগ্রসরমান সাফল্য। আর্থিক সফলতার পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মৎস্য চাষিরা নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদেরই একজন পাবনার ফরিদপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান হাফিজ। চল্লিশ বয়সী এই যুবক চাঁদপুর জেলার ডাকাতিয়া নদীতে ভাসমান খাঁচায় মৎস্য চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন। ভাবেন তার নিজ বাড়ির পাশেও তো নদী আছে, আছে জলাশয়। সেই নদীতে যতটুকু পানির প্রবাহ আছে তাতেই এই পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ করা সম্ভব। পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাফিজ তার এলাকার গুমনী নদীতে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের পরিকল্পনা করেন। বিগত ২০১০ সালে মাত্র ১০ টি ভাসমান খাঁচায় শুরু করেন মনোসেক্স জাতের তেলাপিয়া মাছের খামার। এই মাছ ৬ মাসে অনেক বৃদ্ধি পায়। বাজারে তেলাপিয়া মাছের চাহিদা আছে। বিপুল উৎসাহে চালিয়ে যান তিনি ভাসমান মৎস্য চাষের কাজ। পরামর্শ নেন স্থানীয় ও জেলা মৎস্য দপ্তরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। তারাও উৎসাহিত করেন হাফিজকে এবং মাছের বংশ বৃদ্ধিতে কি করণীয় সেই পরামর্শ দেন। মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই তার ভাসমান মৎস্য খাঁচার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ এ। প্রতিবছর এ খামার থেকে তার আয় হয় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। হাফিজ জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি হিসেবে ২০১৪ সালে জাতীয় কৃষি পুরস্কার ও ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার লাভ করেন। সফল মৎস্য চাষি হাফিজুর হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, প্রবাহমান নদী বা জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষে উৎপাদন খরচ কম। এছাড়া, এক্ষেত্রে পুকুর খননের কোন প্রয়োজন হয় না। পুকুর খনন বা লিজ নিয়ে বাড়তি খরচ নেই। নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে তৈরি তার ভাসমান মৎস্য খামার ২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফুট প্রস্থ এবং পানির ৬ ফুট গভীরে এই খাঁচায় এক হাজার থেকে বারশত মনোসেক্স মাছের পোনা চাষ করা যায়। প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর স্থানীয় বাজারে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় এই জাতের তেলাপিয়া মাছ। প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ উৎপাদনে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। তার এই পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এগিয়ে এসেছেন। তারাও শুরু করেছেন এই পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।