Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনোনয়নে বাহাদুরি, ভোটের মাঠে বলয় কেন্দ্রিক ঘুরপাক খাচ্ছেন মহাজোট প্রার্থীরা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:১১ পিএম

আছে প্রশাসনিক প্রভাব, স্যার সম্বোধন করে প্রশাসনের কর্তারা মহাজোট প্রার্থীদের খাতির ও নম-নম, দিলসে তোয়াজও করছেন। কিন্তু একাধিক বিচার বিশ্লেষনে দেখা গেছে, মহাজোটের কোন প্রার্থী-ই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের গ্রহনযোগ্যতা ও ভালোবাসায় জয়ী হতে পারেননি। সেই বিচারে উত্তীর্ণ হলে, বিএনপির প্রার্থীরা মাঠে এখন-ই তুমুল প্রতিরোধে পড়তো আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরোধীতায়। দেশের অন্য স্থানের মতো হামলা-মামলা- গ্রেফতার থেকে রেহাই পেতেন না তারা। মারমুখি আচরনে এলাকা ছাড়া হতে হতো ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের। বরং এই প্রার্থীদের বেশিরভাগই দলের বিরোধীকারীদের চ্যালেঞ্জ করে মনোনয়ন নিশ্চিত করে নিজের বাহাদুরী জাহির করেছেন। সেকারনে দলের সিংহভাগ নেতাকর্মীরা মনোনীত এ প্রার্থীদের নিয়ে ভাবিত নয়, বিএনপির এমপি প্রার্থীদের প্রতিও তাদের হিংসা বা গতানুগতিক বিরোধীতা করার গরজও দেখাচ্ছে না। তবে প্রার্থী বলয়ের নেতাকর্মীরাও আছেন প্রচন্ড আতœ-বিশ্বাসে বিজয় নিশ্চিতে। দিনক্ষণ অপেক্ষা করছেন ফলাফল ঘোষনার। প্রার্থীরা বুঝাতে চাইছেন যে যা করিস, আবার আমি এমপি হচ্ছি ভাই। দলের সচেতন অনেক কর্মী-সমর্থক প্রার্থীদের এহেন আতœ-গরিমা নিয়ে সন্দিহানও হয়ে উঠছেন। তাদের চোখে বিরোধী ভোট শুধু নয়, খোদ দলের নেতাকর্মীরাও প্রার্থীদের নিরব বিরোধীতায় লিপ্ত। নৌকার সাথে তাদের মায়-ভালোবাসা থাকলে, প্রার্থীদের সাথে তাদের দুরত্ব বিস্তর। তারপরও বিজয় নিয়ে প্রার্থীদের আগাম আতœ-তৃপ্তির রহস্য নিয়ে তারা শংকিত। নৈপথ্যে কোন শক্তি রয়েছে, বিজয় নিশ্চিত করে দিবে বির্তকিত নৌকার মাঝিদের সেই প্রশ্নে ঘুরপাক খাচ্ছেন তারা। মাঠ রাজনীতির চিত্র পর্যালোচনায় করলে দেখা যায়, মহাজোট প্রার্থীরা সিলেটের -৬ আসনের কোনটিতেই ঝুঁকিমুক্ত নয়। সিলেটে তথা দেশের রাজনীতিক দলের প্রধান নেতৃত্বের সাথে মহাজোট অনেকাংশে ঐক্যতা দৃশ্যমান হলেও, তৃণমুলে তাদের নেতাকর্মীরা নিজ মত, পছন্দে বিপরীত অবস্থানে রয়েছেন। সেকারনে ভোটের হিসেব চরম জঠিল হয়ে পড়ছে। সরকার দলের প্রভাব, ভবিষ্যত শংকায় তৃণমুলে নিরবে ভোট রাজনীতিতে গা-বাচিয়ে চলছেন বেশিরভাগ ভোটার। নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর সচেতনভাবে নজরও রাখছেন তারা। মহাজোটের মাঠ প্রভাবে আভাস দেওয়া হচ্ছে, আবার সরকার গঠন করছেন আওয়ামীলীগ। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ, সেকারনে ভোটাররাও সরাসরি নিজেদের পছন্দের কারো পক্ষাবলম্বন না করে দৃশ্যমান শক্তির সাথে মানিয়ে, কৌশলী ভাবে নিজদের ভাসিয়ে রাখছেন। মহাজোট বিজয়ী কোন কারনে হয়ে গেলে তারা ঝুঁকিতে পড়তে নারাজ, কিন্তু দৃশ্যমান তাপ-চাপ মোকাবেলা করে যদি ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে যায়, তাহলে তারা গা-ঝাড়া দিয়ে উঠবেন এমন মনোভাব এখন তাদের মধ্যে।
সিলেটের-৬টি আসনের মধ্যে ৫ টি-তেই লড়ছেন বর্তমান এমপিরা। মর্যাদার্পণ সিলেট-১ আসেন শুধু বদল হয়েছে প্রার্থী। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সহোদর ড. একে আব্দুল মোমেন নতুন মুখ মহাজোটে। প্রার্থীদের সবাই প্রশাসনের নিকট স্যার বলে মর্যাদা ও গুরুত্ব পাচ্ছেন। সে-কারনে তাদের সাথে ক্ষমতার গরম তাপও ছড়িয়ে পড়ছে। সেই তাপে পুড়তে না গিয়ে সুবিধার চেষ্টা অব্যাহত চলছে। তবে, মহাজোট প্রার্থীদের ঝুুঁকিতে থাকার পেছেনে রয়েছে একাধিক সক্রিয় কারন। এগুলো সমাধানের চেয়ে ‘ইগো‘ গত মানসিকতা প্রবল আকার ধারন করেছে। সিলেটের-৬ টি আসনেই গোপনে-প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগে কোন্দল চরমে। এমপিরা দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নিজস্ব বলয়কে চাঙ্গা রেখেন। চ্যালেঞ্জ করেছেন নিজ দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের। সেকারনে সরকার দলে থেকে কোনঠাসা ছিল দলীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, এমপিদের বিরুদ্ধে। সেই নির্বাচনে এমপিরা দলের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে কেউ একজনকে আনুকূল্য দেখাতে গিয়ে বাকীদের অসন্তুষ্টিতে পড়ছেন। অনেক স্থানে সরাসরি দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতাও করেছেন ্এমপিরা। মনে করেছেন, নতুন নেতৃত্ব তার ক্ষমতার জন্য হুমকি হতে পারে, বরং বিরোধী দল থেকে পাশ করা জনপ্রতিনিধি তাকে তোয়াজ করবে। তৃণমুলে দূরদৃষ্টি হিসেব নিকেশের বদলে স্থানীয় বির্তকিত কর্মগুলোতে ভোটের মাঠে কঠিন পরীক্ষায় এখন সরকার দলীয় এমপি প্রার্থীরা। একাধিক রাজনীতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, মহাজোটের এমপির প্রার্থীদের সাথে নেই তৃণমুলে কর্মী সমর্থকরা। সেকারনে তারা সক্রিয় হচ্ছে না, বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থীদের বিরোধীতায় মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে না। মাঠ উত্তাপ ছড়াতে ব্যর্থ হচ্ছেন বলেই নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপি বিরোধীতার মধ্যে দিয়ে ঐক্যবদ্ধতার মিশনে ব্যর্থ হচ্ছেন প্রার্থীরা। যেকারনে দেশের অন্যস্থানগুলোতে সরকার দলীয় কর্মী সমর্থক বিরোধী এমপি প্রার্থী ্ও কর্মী সমর্থকের উপর সরাসরি আঘাত করে, উত্তেজনা ছড়িয়ে নিজেদের কোন্দল নিরসনে চেষ্টা করছে, সেখানে সিলেটে বিরাজ করছে বিপরীত চিত্র। সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা প্রার্থীর পক্ষে ফটোসেশন ্ও কোন মতে প্রচার প্রচারনায় রুটিন কাজে জড়িয়ে রেখেছে। সাংঘর্ষিক কোন পরিস্থিতিতে তাদের আগ্রহ এখন দেখা যাচ্ছে না। দলের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, বারবার এমপি হয়ে লুটেপুটে খাবে তারা, আমাদের অবস্থান যেই, সেই থাকবে। মূল্যায়ন তো হবেই না, গুডবুকেও আসবো না বরং বিড়ম্বনা বাড়বে এমপি বিরোধী নেতা-কর্মীদের।

সিলেট-১ (সদর-সিটি করপোরেশন নির্বাচন) অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপির সহোদর ড. একে আব্দুল মোমেন মহাজোটের প্রার্থী। মন্ত্রী মুহিতের চারপাশে নিজস্ব একটি বরয় সক্রিয় ছিল। তারা রাজনীতিক পরিচয়ে উর্ধ্বে থেকে আখের গুছিয়েছে নিরবে। রাজনীতির মিছিল মিটিং এর তাপ-উত্তাপের ধারে কাছেও তারা আসেনি। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরানের উপর তার আর্শিবাদ প্রত্যাশিত ছিল না বলে গুঞ্চন ছিল। এই আসনে দলের কেন্দ্রিয় নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ্ও বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন। তাদের নেতাকর্মীরা রাজনীতির রাজকীয় ভাষায় ভাই বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু তারা মনোনয়ন পাননি। তাদের বদলে রেডিমেট প্রার্থী ড. মোমেন মনোনয়ন পেয়েছেন, তাকে স্যার বলে সম্বোধন করতে হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের। সেকারনে মনস্তাত্ত্বিক একটি দ্বন্দ্ব দলের মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে। তবে সাধারন নেতাকর্মীরা ড. মোমেনকে আগামী দিনের এমপি, মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, তাই গুডবুকে থাকার জন্য আশেপাশে ভীড় জমিয়েছে, ভোটের প্রচারনায় তারা একেবারে ড. মোমেন কেন্দ্রিক। মহাজোট প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বি হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। মুক্তাদির নেতাকর্মীদের নিকট ভাই সম্বোধনে একাকার। রাজনীতিক আচরনে দ্রুত তিনি পরীক্ষিত হওয়ায়, তৃণমুলে অবস্থান করে নিয়েছেন। ধানের শীষের সুবাধে দলমত নির্বিশেষে তিনি সাড়া পাচ্ছেন, তার ও ধানের পক্ষে নিবেদিত কর্মীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছে বিজয়ের টার্গেটে। সেকারনে ড. মোমেনের বিজয় সম্ভাবনার আতœ-বিশ্বাস ফানুসে পরিণত হওয়া অমুলক নয়।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সিলেট-২ (ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ) আসনটি বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টপ্রার্থী তাহসিনা রুশদীর লুনার বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি। এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী ও আওয়ামী ঘরনার দুই স্বতন্ত্রসহ (বিদ্রোহী) ১০প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে, বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে মূল লড়াইয়ে থাকবেন কে-তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এখনও আইনী জঠিলায় প্রার্থীতা নিয়ে লুনা। শেষ পর্যন্ত আইনী লড়াইয়ে উর্ত্তীন হয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন তিনি, এমন আশাবাদী তার সমর্থকরা।

সিলেট-৩ (দক্ষিণসুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ) আসনেও ঝুঁকিমুক্ত নন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। ভোটে বিএনপি প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে মুলত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ আসনে আ‘লীগ প্রার্থীর বিজয় হলে, খোদ তার দলের লোকজন চরম ক্ষতির মুখে পড়বে এরকম আতংক এখানকার বাস্তবতা। বরং বিএনপি প্রার্থীর বিজয়কে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা । দলের প্রভাবশালী নেতাকর্মীদের সাথে এমপি কয়েছের বিদ্যমান বিরোধ বলতে গেলে অমিমাংসিত। পরিস্থিতি এতোই লেজে গোবরে যে কয়েছ দলে তার বিরোধী নেতাকর্মীদের চ্যালেঞ্জ করেই এ মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন অপ্রত্যাশিতভাবে। সেকারনে দলীয় নেতাকর্মীদের দাপুটে সমর্থন তার পক্ষে থাকার সম্ভাবনা নেই। প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে বিএনপি দাপুটে ভূমিকায় এ আসনে বিজয় নিশ্চিত করে নিবে।

সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ-জৈন্তাপুর) মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইমরান আহমদ ও বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ দিলদার হোসেন সেলিমের মধ্যে। এ আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল তুলনামুলক কম থাকলেও শক্ত চ্যালেঞ্জে পড়বেন বিএনপি প্রার্থী সাথে। খনিজে সমৃদ্ধ এ এলাকায় আধিপত্য কেন্দ্রিক বিরোধে এমপির সহযোগিতা কোন না কোন পক্ষে চলে যায় স্বাভাবিকভাবেই। এতে করে বঞ্চিতদের বিরোধীতার পড়তে হয় এমপিকে। খোদ দলের মধ্যে চাঙ্গা থাকে এ বিরোধ। সেকারনে স্থানীয় স্বার্থগত কারনে এমপি ইমরান আহমদ ভোটের মাঠে সুবিধাজনক পর্যায়ে এখনও নন।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সাংসদ হাফিজ আহমদ মজুমদারের সাথে নেই মহাজোট। তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন। সেকারনে এক সুরের ভোট ভাগাভাগি হবে। এই আসনে ২০ দলীয় জোট প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রার্থী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক। এ আসনে জামায়াতের ভোট ব্যাংক রয়েছে, সেই সাথে বিএনপির নিজস্ব ভোট রয়েছে। জামায়াতের প্রার্থীতা এ আসনে নিশ্চিত এমন ঘটনার মধ্যে জমিয়ত ভাগিয়ে নেয় প্রার্থীতা। যদি এ দু‘দল ইসলামী মূল্যবোধের ধারক-বাহকের স্বীকৃত প্রতিনিধিত্বের দাবীর হিসেবে জমিয়ত প্রার্থীর প্রতি সুবিচার করলে ঝুঁকিতে পড়বে নৌকা । জামায়াত ও বিএনপি উদার ভোট রাজনীতির পরিচয় দিলে ধানের শীষের বিজয় সম্ভাবনা থাকবে-ই।

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে জয়ের ব্যাপারে ঝুঁকির মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী, বর্তমান সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ ও বিএনপি প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। নিজস্ব বলয় নির্ভর তৎপরতায় বিতর্কিত হয়েছেন তিনি। তার বলয়ের লুঠেরা খলিফারা সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছেন। তার মনোনয়ন নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধীতা করেছে দলের একটি শক্তিশালী অংশ। দেশের সফল মন্ত্রী হলেও নাহিদ এলাকায় এমপি হিসেবে নিজের সার্বজনীন অবস্থান গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন বলে অনেকে মনে করেন। সেকারনে দলের নীতি নির্ধারকদের বিাচরে নৌকার টিকিট নিশ্চিত করলেও স্থানীয় নেতাকমী বান্ধব প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। সেকারনে ভোটের মাঠে নেতাকর্মীদের উদার ভালোবাসা-সমর্থনে দাপুটে ভূমিকায় নেই তিনি।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ