Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঐক্যফ্রন্ট কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খুঁজছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৪৬ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-মির্জাপর-ভাওয়াল গড়) আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় ফাঁসানো ও পুলিশি হয়রানির প্রতিকার চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন এ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতা দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের মাধ্যমে তিনি চিঠিতে দেন।
চিঠিতে ইকবাল সিদ্দিকী উল্লেখ করেছেন, পুলিশি হয়রানির কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়য়েছে। গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলাধীন টেংরা বাজারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী পথসভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থল থেকেই তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পীরজাদা এস এম রুহুল আমিনকে কোনো প্রকার গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুরো নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ খুঁজছে। এতে নেতাকর্মীদের মনে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে কোনো প্রকার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রদর্শন না করেই তাঁর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক গাজীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সরকার এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল মোতালেবকে পুলিশ তাদের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তাদের পুরনো এক গায়েবি মামলায় আসামী দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়। তাছাড়া তফসিল ঘোষণার পর গাজীপুর-৩ আসনের আওতাধীন জয়দেবপুর থানায় বেশ কয়েকটি মাদক মামলা তৈরি করে বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ভাগ্য বিড়ম্বিত রোহিঙ্গারাও রাতে তাদের নিজ পরিবারের সঙ্গে নিজের বিছানায় ঘুমাতে পারে, অথচ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা পুলিশি হয়রানি এবং পরিকল্পিতভাবে সৃষ্ট গ্রেফতার আতঙ্কে পরিবারের সঙ্গে নিজের বিছানায় রাতে ঘুমাতে পর্যন্ত পারছেন না। তিনি অবিলম্বে তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং দুই জন যুগ্ম-আহ্বায়ককে মুক্তির ব্যবস্থা, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের পুলিশের হয়রানি বন্ধ এবং এসব অপতৎপরতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
চিঠি পাওয়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকতা দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ