বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুখে-বুকে আফসোস আর মাথা ব্যথা একমাত্র পুলিশ নিয়েই সিলেট বিএনপি সহ সরকার বিরোধী রাজনীতিক নেতাকর্মীদের। সরকার দল তথা আ্ওয়ামীলীগের নেতাকমীদের মোঠেই কেয়ার করছে না তারা। কিন্তু পুলিশ, নিয়ে তাদের চরম মাথা ব্যথা। চলতে ফিরতে স্বাভাবিক জীবন থমকে দিয়েছে পুলিশ। এখনকি নির্বাচনী আমেজে তাদের স্বর্তস্ফূত অংশ গ্রহনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে পুলিশ। ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া, ফেরারী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী। মামলার পাহাড় তাদের উপর। তারপরও দমাতে পারেনি তাদের আর্দশিক শ্লোগান। উদ্বেগ-আতংক এখন তাদের গা-সহ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। রাজনীতিক পরিচয় তছনছ করে দিয়েছে তাদের পারিবারিক ষ্ট্যাটাসকে। তাদের কারনে পরিবারের লোকজনও আতংকিত। একেবারে নিরূপায় তারা। রাজনীতিক ভিন্ন মতের কারনে ঘরে-মহল্লা-সমাজে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সরকার দলের লোকজন সুযোগ পেলেই চড়ি ঘুরাচ্ছে তাদের উপর। লেলিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশ বাদি মামলায় তটস্থ হয়েছে জীবন। ভয় ডুকে গেছে পুলিশ নিয়ে। পুলিশ দেখলে নিরাপত্তার বদলে ক্ষোভ ফেটে পড়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। পারিবারিক সসম্যা হলে পুলিশের নিকট যেতে পারেনি তারা। কারন রাজনীতিক পরিচয়ে তারা সেবা বঞ্চিত। চলমান নির্বাচনী মৌসুমে আবারও তারা পুলিশী আতংকে। অভিযোগ উঠছে পুলিশের হুমকি ধমকিতে তারা বিপন্ন। অব্যাহতভাবে চলছে ধর-পাকড়। কিন্তু বেপরোয়া ভাবে ঘুরছে-ফিরছে আ্ওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তারা পুলিশের ভয়ে দিকবিদিক হন্য, প্রতিপক্ষ পুলিশের শ্লেটারে বুক ফুলিয়ে হাঁটছে। প্রতিরাতেই কোথ্ওা না কোথাও গ্রেফতারে পড়ছে নেতাকর্মীরা। তব্ওু তারা অদম্য। গত ১০ বছরের বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা মামলার কবলে পড়ে নি:স্ব হয়েছে। ঘুরে দাড়ানোর সুযোগ পেয়েছে এ নির্বাচনকে। ঘর থেকে বাইর হওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। গ্যারিলা কায়দায় মিছিল মিটিং গন-সংযোগে তারা শরিক হচ্ছে। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে একাধিক থানার ওসির প্রত্যাহারের দাবী তোলা হচ্ছে, সকলের একই অভিযোগ আওয়ামীলীগ নয়, পুলিশ-ই তাদের নির্বাচনের পথে এখন প্রধান বাধা। এখনও প্রধান রাজনীতিক দলগুলো পরস্পরের উপর হামলা বা অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটায়নি সিলেটে। শান্তি ও সম্প্রতিতে চলছে নির্বাচনী প্রচার কার্য। কারো মুখোমুখি হচ্ছে না প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত তারা। কিন্তু পুলিশ হয়ে উঠছে বিষ ফোঁড়া। মহাজোট প্রার্থীদের স্যার বলেই সম্বোধন করছে প্রশাসনের লোকজন,কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের কোন মতে ভাই পর্যন্ত-ই। খেয়াল খুশি মতো ধরছে ফোন, অভিযোগ কানে নিলেও আমলে নিচ্ছেন না। সিলেট-১ আসনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদির শাহপরান থানার ওসিকে পরিবর্তনের দাবী তোলেছেন। একই দাবী তুলেছেন সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুর্ওী তার নির্বাচনী এলাকার ২টি থানার ওসিকে বদলির দাবী জানিয়েছেন। তাদের দাবী কতটুকু কার্যকর হবে তা দেখার বিষয়। প্রার্থীদের কাছে প্রতিনিয়ত খবর আসছে কর্মী হয়রানীর। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না তারা। এনিয়ে নির্বাচনী মাঠে প্রচন্ড ধাক্কায় রয়েছেন প্রার্থীরা। প্রতিকার-প্রতিরোধ করবেন কিভাবে তা নিয়েও চিন্থিত। বিভিন্ন এলাকায় সাদা পোষাকে লোকজন দেখলেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা মনে করছে তাদের উপর নজর দারী চলছে। সন্দেহ-অবিশ্বাসে তারা ভূগছে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রশাসনের সাথে সর্ম্পক সরকার দলীয় প্রার্থীদের। এখন্ও চলছে এইক ভাবে। এই ১০ বছরে প্রশাসন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সরকার দলের প্রার্থীরা যখন প্রভাব খাটিয়েছে পুলিশের উপর তখন অনুরোধ আর ম্যানেজ করে চলার অনুশীলন করেছেন বিরোধী দলের নেতা ও বর্তমান প্রার্থীরা। সিলেটের বিএনপির সকল শীষ নেতারা সরকার বিরোধী মামলার আসামী। নেতাকর্মীদের বহর তো আছে-ই। সেকারনে মনস্তাত্ত্বিক দূর্বলতায় কাহিল বিরোধী নেতাকর্মীরা। চলমান নির্বাচনকালিন পরিস্থিতিও একই। মুখ লুকিয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া প্রার্থীরা ভয় আতংকের উর্ধ্বে নন। ফাঁক-ফোঁকর পেলেই পুলিশী নজরে পড়বেন সেই ভয় তাদের মধ্যে বিরাজ করছে। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা গ্যারিলা কায়দায় অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনী মাঠে। রাতে ঘরে ফিরেন না, কোথ্ওা থাকনে একান্ত ছাড়া কাউকে বলেন্ও না। অনেকে ব্যবসা বানিজ্য ছেড়ে নিরাপদ দুরত্বে থাকছেন। তারপরও রক্ষা হচ্ছে না। কখন গ্রেফতার হচ্ছেন, হবেন সেই ভয় তাদের চোখে মুখে। এলাকায় মহাজোটের কেন্দ্র কেন্দ্রিক নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহবায়ক সোর্স হিসেবে নজরধারী করছেন বিরোধী নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রগুলোতে নিয়ন্ত্রন বজায় রাখতে তালিকা করে বিরোধী দলের সক্রিয় নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অনেকে কৌশলে ফোন করে বলছেন পুলিশ তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে, তুমি সরে যাও। লিয়াজো করছেন সমাজিক সর্ম্পকের কিন্তু নির্বাচনী মাঠ ছাড়া করার মিশনে সরকার দলীয় লোকজন সক্রিয়। চলমান এহেন অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। গ্রেফতার হলে মুক্তির আশাও অনিশ্চয়তায়। তাদের কারনে গোটা পরিবারে অন্ধকার নেমে আসছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে অজানা আতংক তাদের ঘিরে ধরছে। এর একমাত্র কারন শুধুই পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।