Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘ভোট কক্ষে এজেন্টরা জান দিবে কিন্তু ভোট চুরি হতে দেবেন না’

ময়মনসিংহে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী জনসভা আ.স.ম আব্দুর রব

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:১০ পিএম

ময়মনসিংহে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী জনসভার প্রধান অতিথি আ.স.ম আব্দুর রব বলেছেন, গত দশ বছর জালিম সরকার বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে বাড়িতে ঘুমাতে দেননি। তাই ৩০ ডিসেম্বর আমরা কেউ ঘরে থাকবো না। থাকবো মাঠে। ভোট দিয়ে কে ন্দ্র পাহাড়া দিব। আর এজেন্টরা জীবন দিবেন। কিন্তু ভোট চুরি হতে দেবেন না। তিনি আরো বলেন, ধানের শীষ শান্তি ও মুক্তির প্রতিক। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত করার লক্ষে শান্তির প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিন। আল্লাহ অত্যাচারী, জালিমকে চিরদিন ক্ষমতায় রাখেন না। আব্দুর রব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাত্র চার দিনেই আপনার মাথা নষ্ঠ হয়ে গেছে। এখনো দুই সপ্তাহ বাকি। এর মধ্যেই বেসামাল হয়ে গেছে। পাগল হয়ে গেছে, পাগল। এত ভয়ের কারন কি। এখন তোর শুরু। ৩০ তারিখ ঘর খালি হয়ে যাবে, রাস্তা ভরাট হয়ে যাবে। আপনি দশ বছর দেশের মানুষকে ঘুমাতে দেন নাই। নেতা-কর্মীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছেন। রাতে ধরে নিয়ে লাশ করে দিয়েছেন। আপনি আবার জনগনের ভোট আশা করেন। ভয় নেই। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে পালানোর পথ করে দেয়া হবে। আপনার বিরুদ্ধে মামলা হবে না। তবে আইনগত বিচার হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধের চেতনা আপনার মুখে শোভা পায় না। ছি:ছি লজ্জা লাগে। ক্ষমা চান। আগামী কাল বিজয় দিবস। আমি বলব পরাজয় দিব। শেখ হাসিনা ৪৬ বছর পরে পাকিস্তানি কমান্ডোর হাতে নৌকা তুলে দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর না করে ২০১৮ সালে পরাজয় দিবস করেছে।
শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ময়মনসিংহ শাখার সমন্বয়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা ও আলমগীর মাহমুদ আলমের যৌথ সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্য আরো রাখেন বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ডাঃ জাফর উল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, বেগম সেলিমা রহমান, অধ্যাপক ডাঃ এ.জেড. এম জাহিদ হোসেন, ময়মনসিংহ-৪ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, ময়মনসিংহ-৮ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সাবেক এমপি নূরজাহান ইয়াসমিন বুলবুল, অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, মাও. আব্দুর রেজ্জাক, শামীম আজাদ, রোকনুজ্জামান রোকন, শহীদুল আলম খসরু, আবু সাইদ, অ্যাডভোকেট আজিজুল হক, যুবদল নেতা রুকনুজ্জামান সরকার, মোজাম্মেল হক টুটু, দিদারুল ইসলাম রাজু, জোবায়েদ হোসেন শাকিল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহীদুল আমীন খসরু, রিপন তালুকদার, তানভীরুল ইসলাম টুটুল, ফয়সাল, শ্রমিক দল নেতা আবু সাইদ, ছাত্রদল নেতা রানা, লুইন, রবীন, ডুনন, রায়হান, হলুদ প্রমূখ।
জনসভায় বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং সবচেয়ে অজনপ্রিয় নেত্রী হলো শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি ধানের শীষের প্রার্থীকে চিনতে চাই না। আমি চিনি ধানের শীষ, আমি চিনি বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি আরো বলেন আগামী নির্বাচনে পুলিশ এই সরকারের পক্ষে কোনো কাজ করবেনা বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন মানুষকে জয় করার জন্য লাঠিসোটা নয়, ভালোবাসা দিয়ে মানুষকে জয় করতে হবে।
ডাঃ এ.জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিগত ১২ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। জুলুম-নির্যাতনে বিএনপিসহ দেশের মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই সকল বেভাভেদ ভূলে ৩০ ডিসেম্বর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করুন। তবেই বেগম খালেদা এবং দেশের অবরুদ্ধ গণততন্ত্র মুক্তি পাবে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভয়-ভীতি, মামলা-হামলা, ভোট চুরি করে আওয়ামী লীগ জিতে পারবে না। গ্রেফতার এড়িয়ে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাটি কামড়ে পড়ে থাকুন। ৩০ ডিসেম্বর ব্যালটের মাধ্যমে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, গত ৫ বছর পূর্বে একতরফা নির্বাচন ফাকা মাঠে গোল দিয়েছিলো, এবার আমরা ফাকা মাঠে কোনো গোল করতে দেবনা। দেশের মেগা প্রকল্পের উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি লুটপাট করেছে। ওরা গরীব মানুষের টাকা লুট করে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের সাথে নামকরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা রয়েছে, অথচ ওরা বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের শক্তি, ওদের কথা ভ-ামী। তিনি বলেন সরকার ইতিমধ্যেই ১০জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করছে। এককিছু করেও ওদের পায়ের নীচে মাটি নেই। তিনি ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সাহসী এজেন্ট নিয়োগ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসলে মেগাপ্রকল্প বন্ধ করে দেয়া হবে এমন বক্তব্যের জবাবে ডাঃ জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় আসলে দেশে চলমান সকল মেগাপ্রকল্প চালু রাখা হবে। এত ওইসব প্রকল্পে আমাদের খরচ এক চতুর্থাংশ। তিনি বলেন আমরা ক্ষমতায় গেলে ওষুধ ও চিকিৎসা খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনবো। দুর্নীতি বন্ধ করবো।
মাজননী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে ধানের শীষে ভোট দেয়ার উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ-৪ আসনের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, ইসি অনিরপেক্ষ ভাবে দলীয় নেতা-কমৃীদের গ্রেফতার নির্যাতন করছে। নিরপেক্ষ হয়ে যান। না হলে হাজার হাজার জনতা নিয়ে আমরাও আপনার বাসস্থানে সমাবেত হব।



 

Show all comments
  • মানসুর অামেদ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৪ পিএম says : 0
    জান কি অাপনার টাকার কেনা না কি?অাপনার কাছে মানুষের জীবনের কি কোন মূল্য নেই?
    Total Reply(0) Reply
  • কমলেশ চক্রবর্তী। ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৫ এএম says : 0
    চোরের মার বড় গলা। বিড়াল যতোই সাধু সাজুক তার থেকে সাবধান।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ