Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলাকায় এসেই সন্ত্রাসীদের দ্বারা তার বাড়ীতে হামলার অভিযোগ মেজর হাফিজের

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:২৯ পিএম

ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা, সংঘর্ষ ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ২টি মোটর সাইকেল। শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় এ ঘটনা ঘটে মেজর হাফিজের বাসার সমানে।

এলাকায় এসেই তার গাড়ী ও বাড়িতে সন্ত্রাসীদের হামলার অভিযোগ করলেন মেজর হাফিজ। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ এমপি শাওনের। দীঘ ৮ বছর পর আজ সকালে মেজর হাফিজ লালমোহন মঙ্গলসিদার লঞ্চঘাটে এসে নেমে তার দলীয় লোকজন নিয়ে তিনি তার পৌরসভার বাসভবনে গিয়ে তার বাসার সামনে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।তিনি দলীয় কর্মীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনী কাজ করার অনুরোধ জানান।কিন্তু ভোলা-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মেজর হাফিজ উদ্দিন লালমোহনে আসলে দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপজেলার দিকে যাওয়ার সময় মেজর হাফিজের বাসার সামনে উভয় দলের সংঘর্ষ বাধে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা আওয়ামী লীগ কর্মীদের ২টি মোটর সাইকেলে আগুনে পুরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ। প্রায় ৩০ মিনিট ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহত আঃ'লীগ নেতারা হলেন আঃ,ন,ম শাহ জামাল দুলাল,মিজানুর রহমান আলমগীর মৃধা, পৌর যুবলীগ নেতা রনি, জুবায়ের কুদ্দুস, হারুন,দুলাল, ছালাউদ্দিন শামিম সহ ২০নেতা কর্মীকে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন আমরা প্রায় ১৫ দিন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। অন্য প্রার্থীরা নির্বাচন কাজ করে ছিলেন। কিন্তু মেজর হাফিজ আজ ঢাকা থেকে সন্ত্রাসীদের এনে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তিনি নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন তারা যেন বহিরাগতদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে লালমোহন তজুমদ্দিনে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন সে ব্যবস্থা করেন
। লালমোহন পৌরসভা আঃ'লীগ সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাদল জানান লালমোহন তজুমুদ্দিন ছিল একটি শান্তির জনপদ। আজ দুপুরে তাদের দলীয় লোকজন উপজেলা দিকে যাওয়ার সময় বিএনপি সন্ত্রাসীরা হামলা করে এতে আওয়ামী লীগের ২০ নেতা কর্মী আহত হয়। তিনি আরও বলেন কিন্তু মেজর হাফিজ আজ এলাকায় এসেই ২০০১ সালের মত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে লালমোহনকে সন্ত্রাসীর জনপদে পরিণত করতে চায়। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মেজর( অবঃ) হাফিজ বলেন তিনি এলাকায় এসেই সন্ত্রাসীদের দ্বারা তার বাড়ি, গাড়ি ও তার দলীয় কর্মীদের হামলার স্বীকার হলেন। তিনি পুলিশ প্রশাসন সহ সকলে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন সারাদেশে ঐক্যজোটের গণজোয়ার দেখে মাসেল পাওয়ার দিয়ে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কারচুপির মাধ্যমে জিততে চায়। তিনি বলেন ঢাকা থেকে লালমোহনে এসে লালমোহন মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে এসে নেমে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে লালমোহন পৌরসভার তার বাসভবনে অবস্থান করে। এ সময় নেতাকে স্বাগত জানাতে হাজার হাজার নেতা কর্মীরা তার বাসায় আসেন।কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা বিএনপির নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে।এতে তাদের অনেক নেতা কর্মী আহত হয়। তাদের কয়েকজন নেতা কর্মীকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে। তার গাড়ি লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে ভেঙ্গে ফেলে। এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি শান্তি পূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।পুলিশ তা করেছে। আমরা লালমোহনে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। ওসি মীর খায়রুল কবির বলেন এখন পরিস্থিতি শান্ত, কোন অভিযোগ এখনও আমরা পাই নাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ