Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি প্রার্থীর সভায় হামলা-গাড়ি-অফিস ভাঙচুর, আহত-১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:০৯ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ঘটনার জন্য বিএনপি ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে। তবে ছাত্রলীগ দাবী করেছে বিএনপির দলীয় কোন্দলের জন্যই এ ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুসলিম উদ্দিনের নির্বাচনী পরামর্শ সভায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার আখাউড়া উপজেলা সদরের দেবগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির দাবী এ ঘটনায় আখাউড়া উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মহসিন ভূঁইয়া, পৌর যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ আহমেদ ও ছাত্রদল নেতা শাখাওয়াত হোসেন আহত হয়। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিএনপি প্রার্থী মুসলিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, দেবগ্রামে বিএনপির প্রয়াত নেতা মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে নির্বাচনী পরামর্শ সভা চলছিল। সভা চলাকালে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত ৬/৭টি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। হামলার নেতাকর্মীরাও আহত হন। হামলায় আহত মহসিন ভূঁইয়া বলেন, যুবলীগ নেতা জুলামিনের নেতৃত্বে যুবকরা লাঠি-সোঠা, রড নিয়ে হামলা করেছে। তিনি পিঠে ও ডান হাতে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, ছাত্রলীগ এ হামলার সাথে জড়িত নয়। এটা বিএনপির আভ্যন্তরীণ কোন্দলেই হয়েছে। আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন তরফদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে বিএনপি প্রার্থী ইঞ্জি: খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামলের পক্ষে গণসংযোগের সময় প্রচারণার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর এলাকায় ধানের শীষের সমর্থনে প্রার্থীর স্ত্রী দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ করতে যায়। তখন প্রতিপক্ষের লোকজন গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। এতে গাড়ির ড্রাইভার রাসেল সহ উপজেলা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন মৃধা আহত হয় বলে প্রার্থীর স্ত্রী সৈয়দা মাহমুদা আক্তার মিতা অভিযোগ করেন। আহত মৃধা জানান, আমরা গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা কাজে যাওয়ার সময় আমাদের গাড়ির সামনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ভূঁইয়ার গাড়ি ছিল। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নেতা আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া সহ তার সহযোগী ছাত্রলীগের কর্মীরা গাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা গাড়ির সামনের গ্লাস ভাংচুর করে। গাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ভূঁইয়ার বলেন, তিনি এ ঘটনা দেখেননি বলে জানান। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন বলেন, গাড়ি ভাংচুরের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
এছাড়াও কালীসীমা বোর্ড বাজার এলাকায় নির্বাচনী অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক অফিস ভাংচুর করা হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ