রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারে পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনে নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছে আ.লীগ। পৌর শহর থেকে শুরু করে গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় নির্বাচনী কমিটি করে দিন রাত চলছে আ.লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা। অপরদিকে হামলা, মামলা ও ধরপাকড়ের শঙ্কা নিয়ে নীরব প্রচারনায় রয়েছে বিএনপি।
নেছারাবাদ, নাজিরপুর ও পিরোজপুর সদর তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত পিরোজপুর-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ দুই হাজার ১১৮ জন। এ আসনে ভোটারদের প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ি আগামী ৩০ ডিসেম্বর তারা শঙ্কাহীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন।
এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছয় জন। এরা হলেন, আ.লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শ ম রেজাউল করিম (নৌকা), বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আলহাজ শামীম বিন সাঈদী (ধানের শীষ), বাম গণতান্ত্রিক জোট প্রার্থী সিপিবি নেতা ডা. তপন বসু (কাস্তে), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ (হাত পাখা), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মো. নজরুল ইসলাম (লাঙ্গল) ও এনপিপির মেহেদী হাসান রনি (আম)। এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতায় থাকলেও মূলত এখানে ভোটের মাঠে লড়াই হবে প্রধান দুই দল আ.লীগ ও বিএনপির মধ্যে। তাই নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই উপজেলাগুলোর প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠন করে ঘরে বসে নেই আ.লীগ। রাত দিন চালাচ্ছেন উঠান বৈঠক, প্রচার-প্রচারনা। এ আসনের প্রতিটি উপজেলায় বেশ দাপটের সহিদ নির্বাচনী প্রচারনায় অবস্থান নিয়েছে তারা। এক কথায় নির্বাচনী কাজ নিয়ে এ মুহুর্তে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন আ.লীগের প্রতিটি অংঙ্গ সংগঠন। দলের সকল কর্মীরা বিগত দিনের অভ্যন্তরীন মান-অভিমান ভুলে গিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে জয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে চালাচ্ছেন নিরলস পরিশ্রম। অপরদিকে মামলা, হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে নির্বাচনী মাঠে নীরব প্রচারনায় বিএনপি। বিএনপি নেতাদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, প্রচারে নামলেই ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। একই সাথে চারদিকে পুলিশের ধরপাকড়ের খবরে নতুন করে শঙ্কায় আছেন গ্রেফতার আতঙ্কে। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন সরকারদলীয় লোকজন যতই আমাদের উপর দমন-নীপিড়ন চালাচ্ছেন ততই ধানের শীষে গন জোয়ার আসছে। নীরব প্রচারনার মাধ্যমেই আমরা আমাদের জয় ছিনিয়ে আনবো।
নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি মো: আকরামুল ইসলাম বাবুল বলেন, নির্বাচনী প্রচারের নামার পূর্বেই নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠি থেকে তাদের বিএনপি দু’কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার সুটিয়াকাঠি গ্রামে বাড়ী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দু’জন কাঠের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
নেছারাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সু-নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানী করা হচ্ছেনা।
স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল ইসলাম ফরিদ বলেন, চারদিকের খবরে বিএনপি এখনো হামলা ও গ্রেফতার আতঙ্কে কোন সভা-সমাবেশ করিনি। মাইক নিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যায় ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারনায় নেমে ছিল। এমন সময় স্বরূপকাঠি বন্দরের কাঠেরপুল এলাকা থেকে বিএনপি’র প্রচার মাইক কেড়ে নিয়ে ক্ষমতাসীন লোকেরা হামলা চালায়। গাড়ি থেকে প্রচার মাইক কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। এসময় প্রচার মাইকগুলো রাস্তার উপর আচড়িয়ে ভেঙ্গে উল্লাস করে নৌকার শ্লোগান দেন।
এ আসনের অধিকাংশ ভোটাররা বলছেন প্রতীক নয় এবারের নির্বাচনে তারা ভোট প্রদান করবেন বিগত দিনে এলাকায় উন্নয়ন ও নেতাদের সন্তসজনক কর্মকান্ডের মাপকাঠির উপর নির্ভর করে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকলে তারা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মত প্রকাশ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।