রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাবালী থানায় এ মামলা করা হয়। এ মামলায় গতকাল পর্যন্ত বিএনপির ইউনিয়ন পর্যায়ের ৩৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ফরাজীসহ দলের ৪৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে দলের ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলা আ. লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল ইসলাম লিটু বলেন, আ. লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে অতর্কিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। হামলাকারীর অধিকাংশ ছিল বহিরাগত এবং পাশ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলা থেকে আসা ।এতে আমি সহআ. লীগের কমপক্ষে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ. লীগের কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, রাঙ্গাবালী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান, উপজেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম ফকু, উপজেলা আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম আব্দুল মন্নান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এস আলম ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী আমাদের সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু আ. লীগ একইসময় পাল্টা সভার আয়োজন করেন। পরে হঠাৎ আ. লীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ২০-৩০জন নেতাকর্মী আহত হয়। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
জানতে চাইলে আ. লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিব্বুর রহমান মহিব বলেন, ‘আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। ওইসময় কলাপাড়ায় দোয়া মাহফিল ছিল। সেখানে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এব্যাপারে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।’ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন সাংবাকিদের জানান, খালগোড়া বাজার এলাকায় ওই মাদ্রাসা মাঠে আমাদের পূর্ব নির্ধারিত সভা ছিল। সভার জন্য আমরা আগেই উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। কিন্তু আ. লীগের কর্মীরা আমাদের ওপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে হামলা করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাই।
এ দিকে ঐ দিনের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি করে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবিএম মোশারেফ হোসেন বলেন আ.লীগের লোকজন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে অনুমতিপ্রাপ্ত একটি সভাকে পন্ড করার জন্য হামলা চালায়। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। অমাদের দলে নেতাকর্মীদের নামে থানায় মামলা হয়। গ্রেফতার আতংকে আমাদের নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘নির্বাচনী সভায় হামলার ঘটনায় উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল ইসলাম লিটু বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আমরা ইতোমধ্যে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় উপজেলার খালগোড়া বাজারে বিএনপির প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে এক সভার আয়োজন করা হয়। একইসময় ওই বাজারের বালুর মাঠে আ. লীগের প্রার্থী মহিব্বুর রহমান মহিবের সমর্থকরাও সভার আয়োজন করেন। একপর্যায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।