বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, মানুষ হত্যাকারীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো মাঠে নেমেছে। এরা যেকোন সময় চোরাগুপ্তা হমলা করতে পারে। জনগণের সাথে তাদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। তাই তাদের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। এরা দেশ ও জাতির শ্রত্রু।
মন্ত্রী চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ননের পথসভা ও বাতিসা ইউনিয়নে নিবার্চনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মুজিবুল হক আরো বলেন, যারা নির্বাচিত হয়ে মানুষকে ভুলে যায় তাদের সকল ধোঁকাবাজি এখন চৌদ্দগ্রামের মানুষ বুঝে গেছে। তাই তারা এখন নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠনের সর্বহারা নেতাদের মতো ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কেন্দ্র দখলের হুমকি দেয়। চৌদ্দগ্রামের সচেতন মানুষ এসব হুমকিকে পরোয়া করেনা। তাই এদের ব্যপারে সকলকে সজাগ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
শুক্রবার সকাল ৯টায় উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, দৌলবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটারদের সাথে আলোচনা সভা ও বাতিসা হাইস্কুল মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁঞা হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য ফারুক আহাম্মেদ মিয়াজী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ বি এম এ বাহার, রাশেদা আখতার, এডভোকেট ড. আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, আলকরা ইউপি চেয়ারম্যন গোলাম ফারুক হেলাল, উপজেলা যুবলীগের আহব্বায়ক ও শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহাম্মদ খোকন, কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কামরুল হাসান মুরাদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর বেগম, বাতিসা ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন টিপু, বাতিসা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুর রহিম ভূঁঞা, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পদক লোকমান হোসন রুবেল, উপজেলা ছাত্রলীগের আহব্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম সবুজ প্রমূখ।
রেলপথ মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে এদেশে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয় আর স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারের দোসররা ক্ষমতায় এলে এদেশের মানুষের সম্পদ লুটপাট করে। চৌদ্দগ্রামবাসী ২০০১ থেকে ২০০৫ এদের শাসনামল দেখেছে কিভাবে মানুষকে হত্যা করেছে কিভাবে মানুষের বাড়িঘর লুটপাট করেছে প্রকাশ্যে দিবালোকে।
তারা আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতা কর্মীকে মা-বাবার সাথে থাকতে দেয়নি। বাড়ি-ঘর থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে। তাদের এমন অমানুষিক অত্যাচারে আওয়ামীলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গত ১০ বছর যাবৎ একজন জামাত শিবিরের কর্মীর গায়ে হাত দেয়নি। কোন প্রকার ডিস্টার্ব করেনি। তারা শান্তিতে ঘুমিয়েছে। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি সাধারণ মানুষের উপর কোন প্রকার অত্যাচার কিংবা কোন প্রকার হুমকি ধমকি দেয়া হয় তাহলে জনগণ তার সঠিক জবাব দিবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।