Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাবনার ৫টি নির্বাচনী আসনে প্রচারণায় ব্যস্ত নৌকা-ধানের শীষের প্রার্থীরা

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী, এস.এম রাজা ও আফতাব হোসেন | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:২২ পিএম

দীর্ঘ ১০ বছর পর ডিসেম্বর ৩০ তারিখে সারা দেশের মত পাবনার-৫টি নির্বাচনী আসনে প্রায় সব দলের অংশ গ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে সাধারণ মানুষ মনে করলেও তাদের মন থেকে শংকা একবারে দূর হয়ে যায়নি। এদিকে, ধানের শীষ ও নৌকার নির্বাচনী ঝড়ে ফাইনাল রাউন্ডে খেলতে প্রস্তুত আ’লীগ ,মহাজোট নৌকা প্রতীক ও ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপি ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থীরা । ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি প্রার্থীরা পাবনায় বলছেন, ফাইনাল রাউন্ডের নির্বাচনী মাঠে তারা লড়াই করতে যাচ্ছেন, কিন্তু মাঠ লেবেল প্লেইং ফ্লিড এখনও হয়নি। খাদ-খন্দ মাঠেই লড়াই হবে। সিইসিকে লেবেল প্লেইং ফ্লিড করার আহ্বান কেন্দ্র থেকে জানানো হলেও এখনও সেটা হয়নি। তারপরও তারা লড়াই করবেন। বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশা সবার। নৌকা প্রতীকের আ’লীগ প্রার্থীরা বলছেন, মাঠ ঠিক আছে, খেলতে না জানলে তাদের কিছু করার নেই। ভোট দেবে ভোটার। জয়-পরাজয় তো আছেই । পাবনা-৫ সদর নির্বাচনী আসনে লড়াইয়ে প্রাক্ক প্রচারণায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান এম.পি গোলাম ফারুক প্রিন্স ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঝে মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি’র জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ ইকবাল হুসাইনকে ভোট দিন মাইকে শোনা গেলেও মাঠে-ময়দানে তেমন তোরজোর নেই। পাশে বিএনপিকেও সেইভাবে দেখা যাচ্ছে না। পাবনা-২ নির্বাচনী আসনে নৌকা প্রতীকের আহমেদ ফিরোজ কবীর প্রচার-প্রচারণা করছেন, রিং এ ফিরেছেন, বিএনপি’র প্রার্থী সাবেক এম.পি সেলিম রেজা হাবিব। পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) আসনে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীরা। শুক্রবার সকালে চাটমোহর পৌর সদরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষের সাথে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে গণসংযোগ করেন, আওয়ামীলীগের প্রার্থী আলহাজ্ব মো: মকবুল হোসেন এমপি। এছাড়াও কয়েকটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় তার সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, চাটমোহর পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, নেতা-কর্মীরা ছিলেন। এই আসনের বিএনপি’র সাবেক এম.পি
কে এম আনোয়ারুল ইসলাম। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত । বিভিন্ন স্থানে পথসভায় বক্তব্য ও ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান জানাচ্ছেন। এ সময় তার সাথে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান হালিম, পৌর যুবদলের সভাপতি শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবদলের সভাপতি রেজাউল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান লেবু সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এই আসনে আ’লীগ ও বিএনপি’র দুই জন প্রার্থী নির্বচান করে মানুষের আগে থেকেই পরিচিত। পাবনা-৪ নির্বাচনী আসন (ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া মিলিয়ে)। এই আসনে হেভি ওয়েট প্রার্থী আ’লীগের প্রবীন রাজনীতিক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ সাথে লড়াইয়ের ময়দানে আছেন ,তারুণ্য এখনও কাটেনি, ৯০ গণ অভ্যুথ্থানের অগ্রনেতাদের একজন এবং এই আসনে ইতোপূর্বে নির্বাচন করে মাঠ-ঘাঠে পরিচিত প্রার্থী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। তাকে বিএনপি’র সাবেক এম.পিসহ বিএনপি নেতা-কর্মীরা সমর্থনে রয়েছেন। পাবনা -২,৩ ও ৪ এই আসনে দ্বিমুখী জোর লড়াই হবে। পাবনা-১ নির্বাচনী আসনে আ’লীগের সাবেক স্বারষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নৌক প্রতীকের হেভি ওয়েটের সাথে আর এক হেভি ওয়েট প্রার্থী আ’লীগের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এই আসনে বর্তমানে ঐক্যফ্রন্ট গণফোরামেরে ধানের মীষের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ লড়াইয়ের মাঠে নেমেছেন। জমায়াতের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক বেড়া উপজেলা জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী ডা: আব্দুল বাসেত প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলেও জামায়াতের অপর পক্ষ প্রথম থেকেই নির্বাচনে অনাগ্রহী মাও: নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমানকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাখায় এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে। উজ্জীবিত প্রার্থীদের সমর্থক নেতা-কর্মীরা; তবে শংকা-আশংকা কাজ করছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। এই শংকা প্রথম দিকে ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে পাবনা-১ আসনে আ’লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সংঘর্ষ এবং ২- আসনে সাঁথিয়ায় দুর্বৃত্তরা গণফোরাম প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও তাঁর সমর্থকদের উপর হামলা করায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এই শংকা ফিরে এসেছে। এ ছাড়াও ঐক্যফ্রন্ট শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের উপর, বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কয়েকটি স্থানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় পাবনা জেলাতেও এর প্রভাব পড়ায় শংকা বাড়ছে। সাধারণ ভোটররা এগুলো দেখতে চান না, জনরায়ে ফের আওয়ামীলীগ যদি ক্ষমতায় আসেন তাতে তাদের কোন অসুবিধা নেই । কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চার সুষ্ঠু পথ বিঘিœত হোক এটা তাদের কাম্য নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ