রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোর-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজকে গণসংযোগে বাধাদানসহ তাকে বহনকারী মাইক্রোবাসের চাবী কেড়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, নিজ নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বিএনপি নেতাসহ দুইজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন বিএনপির প্রার্থী আব্দুল আজিজ ও আহতরা।
আব্দুল আজিজ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চামটা গ্রামে একটি জানাজার নামাজের আগে তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় ১০-১২টি মোটর সাইকেলযোগে ২০-২৫ জন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ কর্মী প্রকাশ্যে লাঠিসোটা নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা তাকে বহনকারী মাইক্রোবাস চালকের হাত থেকে চাবী কেড়ে নেন। পরে স্থানীয়দের সহয়োগিতায় প্রার্থী আব্দুল আজিজ জানাজার নামাজ না পড়েই ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাইক্রোবাসের চাবী ফেরৎ নেয়। অপরদিকে, সকাল ১১টার দিকে ১৫-২০ জন যুবলীগ কর্মী উপজেলার বাগডোব বাজারে নিজ দোকানে বসে থাকা অবস্থায় বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ডা. আবুল হাশেমকে (৫৫) এবং রোলভা বাজারে যুবদল কর্মীকে আব্দুস সামাদ (৪৫) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব ঘটনায় আওয়ামীলীগের কোন কর্মী জড়িত নয় বলে দাবী করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।