Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারায় জয়ে মরিয়া আ.লীগ-বিএনপি

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র পনের দিন বাকি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ভোটের মাঠ ততই সরগরম হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। অপরদিকে ভোটাররাও হিসাব-নিকাশ মিলাতে শুরু করেছেন।
এ আসনে ব্যাপক উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এবারেও বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী আসনটি পূনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে লড়বেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীরা কেন্দ্র কমিটি গঠনসহ নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী কাজ। এ আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপির আলাদা আলাদা ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিএনপি দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী সরোয়ার জামাল নিজামের পক্ষে কাজ করলে প্রতিদ্বন্ধিতা পূর্ণ নির্বাচন হবে বলে নিরপেক্ষ মহল মনে করেন। মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ দলকে সুসংগঠিত করে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। তবে দল গোছাতে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার জামাল নিজাম এখনো মাঠে নামেননি। অপরদিকে ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারণায় ভোটের আমেজ বিরাজ করছে।
নির্বাচনী সমীকরণে জানা গেছে,নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালের ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির সরোয়ার জামাল নিজাম। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যু হলে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তাঁর পুত্র সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এরপর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভ‚মি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি বিগত ৭ বছরে তারণ্যের একটি বিশাল অংশকে কাজে লাগিয়ে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন। অপরদিকে,২০০৮ সালে নির্বাচনে হারার পর বিএনপির সরোয়ার জামাল নিজাম রাজনীতিতে অনেকটা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এলাকায়ও বেশি সময় দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়,আনোয়ারা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার ৫ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৯ হাজার ৩৯৯ জন। তারমধ্যে ১ লাখ ৬২ হাজার ২৩১ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৮ জন মহিলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ