রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও-২ আসন (বালিয়াঙ্গী, হরিপুর ও রাণীশংকৈল আংশিক) নিয়ে এই আসটি গঠিত। আর বিএনপি না জামায়াত সেই ধোঁয়াশা অনেকটাই কেটে গেছে। মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দবিরুল ইসলামের সঙ্গে জামায়াত জেলার আমির মাওলানা আব্দুল হাকিমের। তবে বালিডাঙ্গী আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ সরব উপস্থিতি দেখা গেলেও প্রকাশ্যে নড়াচড়া নেই জামায়াতের। নাশকতার মামলায় জামায়াতের প্রার্থী আব্দুল হাকিম কারাগারে থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে তার কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা নীরবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দলটির বেশিরভাগ কার্যক্রমই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দবিরুল ইসলাম উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন এরপর বর্ধিত সভার মাধ্যমে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় মনোনয়ন বঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরাও নৌকার জয় ছিনিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার ঘোষণা দেন।
এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জানান, এখন মূলত তারা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনে ব্যস্ত সময় পার করছে। এরপর ১০ ডিসেম্বর থেকে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন।
জামায়াতের প্রার্থীর অনুসারীরা বলেন, সরকার আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে নেতা কর্মীদের জেল হাজতে রেখে আবার ক্ষমতায় যাওয়া স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছে। আসনটিতে বিএনপির সর্মথকরা এবার ধানের শীষ প্রতীকের জন্য আন্দোলন করছিল । যেহেতু জামায়াত এবার ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ায় বিএনপি আমাদের সাথে কাজ করবে। জামায়াত-বিএনপি একট্টা হয়ে নির্বাচন করে এই আসটির জয় ছিনিয়ে আনবো। সুষ্ঠু ভোট যদি ভোটার দিতে পারে তাহলে সরকারের পতন কেউ ঠেকাতে পারবে না। এছাড়া নেতাকর্মীরা নির্বাচনে প্রচারণা জন্য মনোনয়ন প্রার্থীর জামিন চেয়েছেন। ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ সঠিক সিদ্ধানÍ নেয়ার আহবান জানান নেতাকর্মীরা।
হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও রাণীশংকৈল (আংশিক) উপজেলা নিয়ে ঠাকুরগাঁও-২ আসনের নির্বাচনী এলাকা গঠিত। আসনটিতে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৪১৪ জন ভোটার রয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত এ আসনটিতে আধিপত্য ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম।
ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওতায় রয়েছে বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলা এবং রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়, কাশিপুরসহ ১৬টি ইউনিয়ন। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনকে বাদ দিলে ১৯৮৬ সাল থেকে ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন মো. দবিরুল ইসলাম। ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) থেকে ১৫ দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। কখনও জাতীয় পার্টির সঙ্গে, কখনও বা বিএনপি অথবা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী যুদ্ধে বরাবরই জয়ী এই নেতা সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিবারেই তিনি জয়ী হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।