Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাবনায় সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষজন ভোট দিতে মুখীয়ে আছেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ভোটারা চাইছেন, সুষ্ঠু ঝামেলামুক্ত, সহিংসতাহীন ভোট। আমরা গত দু’দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওপর এক সমীক্ষা করেছি। এর মধ্যে চিকিৎসক, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষজন, এনজিও কর্মী, নারী নেত্রী, রিকশাচালক, অটোবাইক চালক রয়েছেন। তাদের দর্শনগত ভিন্নতা থাকলেও একটি বিষয়ে সবই একমত যে, নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে মানুষ যাতে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা। 

পাবনা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, বিশিষ্ট অর্থোপেডিক্স চিকিৎসক ডা: রিয়াজুল হক (রেজা) এই প্রতিবেদককে জানান, সুষ্ঠু ভোট হওয়া দরকার। সব মত ও পথের ভোটার এবং সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সহকারী অধ্যাপক তানভীর আহমেদ বলেন, তিনি সুষ্ঠু ভোট প্রত্যাশা করেন। প্রধান শিক্ষয়ত্রী ও নারী আন্দোলনের নেত্রী হাছিনা আখতার রোজী বলেন, নির্ভীক যোগ্যপ্রার্থী নির্বাচিত হোক এটি তার প্রত্যাশা, ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’। তিনি ভোট কেন্দ্র এবং ভোট প্রচারণায় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার কথা বলেন। এ্যাডভোকেট কামরুল হাসান প্রায় একই ধরনের কথা বলেন। কয়েকজন রিকশাচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান। সেলুন ব্যবসায়ী মো. আলম, মো. জিন্নাহ তারাও সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশী। ব্যবসায়ী রজব মিয়া নির্বিঘ্নে ভোট দিতে চান। ওষুধ ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক বাদল কুমার বলেন, ভোট দিতে চাই, সেটি নির্বি্ঘ্নে এ ছাড়াও সাধারণ মানুষজনের সাথে, চায়ের দোকানে সেখানে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মচারী নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সাবেক প্রবাসী বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি হেলাল উদ্দিন এবং নাম নাজানা অনেক নতুন ভোটার ও যুবকদের সাথে আলাপ-চারিতায় জানা যায়, তারা ভোট দিতে অত্যন্ত আগ্রহী। তবে প্রত্যাশা নির্ভয়ে-নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার কথা জানালেন। তাদের কয়েকজন বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল দিক রয়েছে। তাদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিলে ভোট পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর হবে। সবার ভাবনা থেকেই কমন বিষয় উঠে এসেছে সেটি হলো, ভোটের সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ নির্বাচনী আসনে এ্যাড. শামসুল হক টুকু (আ.লীগ) নৌকা প্রতীক, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ (গণফোরাম) ধানের শীষ প্রতীক, মাওলানা নিজামীর পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান (স্বতন্ত্র) আপেল প্রতীক, আব্দুল মতিন (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ) হাতপাখা প্রতীক শাখাওয়াত হোসেন (এনপিপি) আম প্রতীক, শরিফুল ইসলাম (তরিকত ফেডারেশন) ফুলের মালা প্রতীক, মো. জুলহাস নাইন (বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি) কোদাল প্রতীক, সরদার শাহজাহান (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল প্রতীক। পাবনা-২ নির্বাচনী আসনে সেলিম রেজা হাবিব (বিএনপি) ধানের শীষ প্রতীক, আহমেদ ফিরোজ কবীর (আ.লীগ) নৌকা প্রতীক, মো. ইউনুস আলী (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), হাতপাখা প্রতীক, শামসুর রহমান (তরিকত ফেডারেশন), ফুলের মালা প্রতীক।
পাবনা-৩ নির্বাচনী আসনে মো. মকবুল হোসেন (আ.লীগ) নৌকা প্রতীক, কে এম আনোয়ারুল ইসলাম (বিএনপি) ধানের শীষ প্রতীক, আব্দুল মুত্তালিব (ইসলামী আন্দোলন), হাতপাখা প্রতীক, খায়রুল আলম (গণতন্ত্রী পার্টি) কবুতর প্রতীক। পাবনা-৪ নির্বাচনী আসনে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (আ.লীগ) নৌকা প্রতীক, হাবিবুর রহমান হাবিব (বিএনপি) ধানের শীষ প্রতীক, মাওলানা আব্দুল জলিল (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ), হাত পাখা প্রতীক, আব্দুর রশিদ শেখ (এনপিপি) আম প্রতীক। পবনা-৫ নির্বাচনী আসনে গোলাম ফারুক প্রিন্স (আ.লীগ) নৌকা প্রতীক, মাওলানা ইকবাল হুসাইন (বিএনপি ) ধানের শীষ প্রতীক, আব্দুল কাদের খান (জাতীয় পার্টি) লাঙ্গল প্রতীক, অধ্যাপক মো. আরিফ বিল্লাহ (ইসলামী আন্দোলন) হাতপাখা মার্কা, আবু দাউদ (এনপিপি) আম প্রতীক। এসব প্রার্থীগণ একাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি হতে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ