রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এবার সিরাজগঞ্জে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা লড়বেন সিরাজগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনটিতে। সড়ক ও রেল যোগাযোগসমৃদ্ধ সিরাজগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসনটি উল্লাপাড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। শস্য এবং ব্যবসায়িকভাবে সমৃদ্ধ এই আসনটি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলেরই রয়েছে বাড়তি নজর। তবে এই অঞ্চলে জামায়াতের রয়েছে বড় একটি ভোটব্যাংক। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও বেশ শক্ত। তা ছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মা. রফিকুল ইসলামকে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে প্রার্থী দেয়া হয়েছে। বলা বাহুল্য, তার বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলায়। ইতোপূর্বে ২০০৮ সালে বিএনপিকে পেছনে ফেলে এ আসনে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। সুতরাং এ আসনে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।
তবে এ আসনটিতে তিন তিনবার বিজয়ের গৌরব অর্জনকারী শিক্ষাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিঃস্বার্থ বর্ষীয়ান জননেতা সাবেক সংসদ সদস্য এম আকবর আলীর মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় উপজেলাকেন্দ্রিক সব অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নাখোশ হয়েছেন। জামায়াতের নেতা তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে ধানের শীষের বিজয় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিতে পারে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী এম আকবর আলী এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
অপর দিকে- ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনটি আ.লীগের দখলে থাকে। ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং এলাকার উন্নয়নে তার ভ‚মিকায় এই আসনটিতে আ.লীগের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আব্দুল লতিফ মির্জা প্রয়াত হলে এই আসনে নৌকা নিয়ে বিজয়ী হন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা গাজী শফিকুল ইসলাম। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম এই আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ বছরও তিনি প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন জামাত নেতা মা. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।