বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ও সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। এছাড়া গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা-মওসুস-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধাণ প্রণীত হয়েছে। তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ; আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনটি অঙ্গের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গণতন্ত্রকে বিকশিত করে।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মানবকুলকে রক্ষা ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। অঙ্গীকার করা হয় মৌলিক মানবাধিকার, মানুষের মর্যাদা ও জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমানাধিকার বাস্তবায়ন করার। এই লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ গৃহীত হয়। জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এই মানবাধিকার সনদে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তবে এই মানবাধিকার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে, তা দেখার সময় এসেছে। আজ বিশ্ব-জনগোষ্ঠী মানবাধিকার আন্দোলনকে আবিষ্কার করেছে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার শক্তি ও সাহসের আলোকবর্তিকা হিসেবে। প্রধান বিচারপতি বলেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যে সব উন্নয়নশীল দেশে লিখিত সংবিধান গ্রহণ করা হয়েছে সেসব সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকারের কথা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানের দ্বিতীয়ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির কথা বলা হয়েছে, যা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিষয়বস্তু। আর তৃতীয়ভাগে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অ্যাডভাকেট গোলাম রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।