জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন পিক অ্যান্ড চুজ (পক্ষপাতিত্ব) করেছে বলে আপিল বিভাগকে জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদনের শুনানিকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন।
আপিলে শুনানির সময় দুলুর আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও হাজী সেলিমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। অথচ আমার মক্কেলের সেটি করা হয়নি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মনোনয়নপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো মানদন্ডই রক্ষা করেনি। বরং তারা পিক অ্যান্ড চুজ করেছেন। তবে এর জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল কোনো বক্তব্য দেননি। এর আগে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম নির্বাচন কমিশনের পক্ষে তার বক্তব্য দেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শেষে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। ফলে এ দুই প্রার্থীর নির্বাচন আটকে গেল।
আদালতে ইসি পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। দুলুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশনে আপিলেও সেই সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে টুকু ও বুলু হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে শুনানি করে গত সোমবার হাইকোর্ট্রে একটি বেঞ্চ তাদের মনোনয়ন গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন। একই সঙ্গে ওই দুই আসনে দলের কোনো বিকল্প প্রার্থী থাকলে এবং তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাইলে সেই সুযোগও দিতে বলা হয়েছে। এ আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।