বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-১ আসনে আ্ওয়ামী লীগের প্রার্থী ড.একে আব্দুল মোমেনের সাথে প্রচারণায় মেতে উঠেছে নেতাকর্মীরা। এ হেভিওয়েট প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্নে রঙ মেখেছে তারা। বিজয়ী হলেই নিশ্চিত মন্ত্রী এমন ভাবনায় আত্মহারা। তাই তার সকাশে নিজদের মেলে ধরছেন নেতাকর্মীরা। পাশে থাকার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাঠে-হাটে ভোটের প্রচারণার চেয়ে তারা ড. মোমিন কেন্দ্রিক ঘুরাফেরায় ব্যস্ত। কারণ ভবিষ্যৎ মন্ত্রীর সাথে সখ্য গড়ে তোলাই তাদের মিশন। একই সাথে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আত্মগরিমা। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস এখন তাদের মধ্যে। তারা মনে করছেন, মোমিনের বিজয় হবেই। কারণ নেপথ্যে নির্ধারিত ছক রয়েছে বিজয় নিশ্চিতে। সে কারণে পুরাতন প্রথার মতো ভোট প্রত্যাশায় তারা নেই। ভোটের একটি অংক কষে নিয়েছেন তারা।
সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেই প্রচারণায় মোমিনের সাথে একটি ছবি না হলে জমছে না ভালো। তাই কাক্সিক্ষত সেই ছবি সংগ্রহে মোমেনকে একান্ত সান্নিধ্য পেতে ফন্দি ফিকির করছেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। দেখা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে যে বলয় সক্রিয় ছিল, সেই বলয়ও এখন তৎপর ড. মোমিনের সাথে। কিন্তু বেশির ভাগ অরাজনৈতিক সুবিধাভোগী এ বলয় নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের পূর্ব থেকেই অ্যালার্জি রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাবে তারা প্রতিবাদী হতে পারেনি, বুদ্ধিমানের মতো মানিয়ে নিয়েছে সেসময়কার পরিবেশ পরিস্থিতি। সেই সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা এখনও। তারা মনে করছেন, নেতাকর্মীদের ঘাম ঝরানো ভোট প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে বিজয়ের স্বাদে লাভবান হতে দেয়া হবে না সুবিধাভোগীদের। তাই তারাও ড. মোমিনের আষ্টেপৃষ্টে। ড. মোমেন, ‘সভা-সমাবেশে বলছেন, আর বসে থাকার সময় নেই, এখণ থেকেই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে’। কিন্তু তার কথায় নেতাকর্মীরা কতটুকু সক্রিয় হচ্ছে, তা দেখার বিষয়। কিন্তু বাস্তবে সেই আলমত নেই। সকলেই অপেক্ষা করছে ঘাম না ঝরিয়ে ভোটে বিজয়ের। মোমেনের একক ক্যারিশমায়, সেই বিজয় নিশ্চিত হবে এমনটিই মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা। যেমন মনে করছেন মোমেনের চতুর্দিকের আপনজনরা। এখন এমপি হলেই মন্ত্রী, সেই মন্ত্রীর চোখে পড়ে থাকলে ভবিষ্যতে সুবিধা নিশ্চিতের নিশ্চয়তা চাইছে সবাই। কারণ তৃণমুলে ভোট আদায়ের কাজ মূল্যায়ন করে কেউ উঠে আসতে পারেনি ওপরে। উপরে ওঠার সিঁড়ির একটিই পথ ভবিষ্যত মন্ত্রীর সুনজরে থাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।