Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেট-১ আসনে আ.লীগ প্রার্থী ড. মোমেনে মজেছে নেতাকর্মীরা!

ফয়সাল আমীন | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:২৮ পিএম

সিলেট-১ আসনে আওয়ামীলীগে নৌকার মাঝি ড. একে আব্দুল মোমেনের সাথে মজতে চাইছে দলের নেতাকর্মীরা। দল মনোনীত এ হেভিওয়েট প্রার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্নে রং মেখেছে তারা। বিজয়ী হলেই নিশ্চিত মন্ত্রী এমন ভাবনায় আত্মহারা। তাই তার সকাশে নিজদের মেলে ধরছেন নেতাকর্মীরা। পাশে থাকার একটি প্রতিযোগীতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাঠে-হাটে ভোটের
প্রচারনার চেয়ে, তারা ড. মোমিন কেন্দ্রিক ঘুরাফেরায় ব্যস্ত। কারন ভবিষ্যত মন্ত্রীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলাই তাদের মিশন। একই সাথে তাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতœ-গরিমা। প্রচন্ড আতœবিশ্বাস এখন তাদের মধ্যে। তারা মনে করছে, মোমিনের বিজয় হবেই, কারন নৈপথ্যে নির্ধারিত ছক রয়েছে বিজয় নিশ্চিতে। সেকারনে পুরাতন প্রথার মতো ভোট প্রত্যাশায় তারা নেই। ভোটের একটি অংক কষে নিয়েছেন তারা। সেই কষাতেই নির্বাচন দিন পর্যন্ত মনস্তিরও করেছেন, দলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে সেভাবেই ভোট জোয়ার বইয়ে দিবে। পেছনে থাকবে বিশাল শক্তি। সেই শক্তির সাথে তাদের যোগাযোগই ঘটছে, ঘটবে। প্রকাশ ঘটবে নির্বাচনের দিন। নানা ছকেই তারা এখন বন্দি। মাঠে যে ভোটের জানান চলছে, তা মুলত ফটোসেশন মাত্র। তবে তা সমীমিত পরিসরে। মোমেনের সাথে সকলেই চায় সংযোগ। সেই সংযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নয়, কর্মী সমর্থক সহ স্থানীয় শীর্ষ নেতারাও। সিলেট-১ আসন সরকার গঠনের একটি মাইলফলক। ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারক সহ সকলেই বিষয়টিতে অবগত। তাই জয় নিশ্চিতের প্রস্তুতি উপরেই চলছে। তৃণমুলে সেই ভাবনা নেই। তারা শুধু নির্দেশনার অপেক্ষায়, কার্যত নির্দেশনার পূর্ব পর্যন্ত ভোটের আমেজে প্রার্থী নির্ভর দৌড়ঝাড় এখন রুটিন কাজে বিলীন হয়ে আছে।
সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচারনা চালাচ্ছে নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেই প্রচারনায় মোমিনের সাথে একটি ছবি না হলে জমছে না ভালো। তাই কাংখিত সেই ছবি সংগ্রহে মোমেনকে একান্ত পেতে ফন্দি ফিকির করছেন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। দেখা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে যে বলয় সক্রিয় ছিল, সেই বলয়ও এখন তৎপর ড. মোমিনের সাথে। কিন্তু বেশিরভাগ অরাজনৈতিক সুবিধাভোগী এবলয় নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের পূর্ব থেকেই এ্যলার্জি রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাবে তারা প্রতিবাদী হতে পারেনি, বুদ্ধিমানের মতো মানিয়ে নিয়েছে সেসময়কার পরিবেশ পরিস্থিতি। সেই সুবিধাভোগিদের বিরুদ্ধে ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা এখনও। তারা মনে করছে, নেতাকর্মীদের ঘাম ঝরানো ভোট প্রাপ্তির মধ্যে দিয়ে বিজয়ের স্বাধে লাভবান হতে দেওয়া হবে না সুবিধাভোগীদের। তাই তারাও ড. মোমিনের আষ্টেপৃষ্টে। ড. মোমেন, ‘সভা-সমাবেশে বলছেন, আর বসে থাকার সময় নেই, এখণ থেকেই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে হবে।‘ কিন্তু তার কথায় নেতাকর্মীরা কতটুকু সক্রিয় হচ্ছে, তা দেখার বিষয়। কিন্তু বাস্তবে সেই আলমত নেই। সকলেই অপেক্ষা করছে ঘাম না ঝরিয়ে ভোটে বিজয়ের। মোমেনের একক ক্যারিশমায়, সেই বিজয় নিশ্চিত হবে এমনটিই মনে করছেন দলের নেতাকর্মীরা। যেমন মনে করছেন, মোমেনের চুর্তুদিকের আপনজনরা। এখন এমপি হলেই মন্ত্রী, সেই মন্ত্রীর চোখে পড়ে থাকলে, ভবিষ্যতে সুবিধা নিশ্চিতের, নিশ্চয়তা চাইছে সবাই। কারন তৃণমুলে ভোট আদায়ের কাজ মূল্যায়ন করে, কেউ উঠে আসতে পারেনি উপরে। উপরে উঠার সিঁড়ির একটিই পথ ভবিষ্যত মন্ত্রীর সুনজরে থাকা।

 

 

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ