Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিএনপি প্রার্থীর পথসভাস্থলে আওয়ামীলীগের পাল্টা সভা আহ্বানে ১৪৪ধারা জারি

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:০৯ পিএম

শেরপুর- ৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে শ্রীবরদীর ভারেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির প্রার্থীর পথসভা স্থলে আওয়ামীলীগের পাল্টা সভা আহবানে উভয় দলে উত্তেজনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা এ আদেশ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পন্ড হয় উভয় দলের পথসভা। 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী সবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল ভারেরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় পথসভার আয়োজন করেন। অপরদিকে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একই স্থানে পাল্টা পথসভার আহবান করা হয়। এ নিয়ে উভয় দলের মধ্যে বিরাজ করে উত্তেজনা। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এতে পন্ড হয় উভয় দলের পথসভা। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনিত প্রার্থী মাহমুদুল হক রবেল জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পথসভার আহবান করা হয়। আমাদের পথসভা বানচাল করতে আওয়ামীলীগ একই স্থানে পথসভার আয়োজন করে। তিনি আরো বলেন এ নিয়ে পুলিশের সহাতায় আমার পরপর তিনটি পথ সভা বাঞ্চাল করা হলো। মিটিং বাঞ্চাল করে আমাকে মাঠ থেকে সরানো যাবে না। এলাকার ৮০ ভাগ মানুষ ধানের শীষের পক্ষে আছে। কাজেই বিজয় আমাদেরই হবে।
অপরদিকে গোসাইপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গির আলম জানান, আওয়ামীলীগ ও মহাজোট মনোনিত প্রার্থী এমপি একেএম ফজলুল হকের সম্মতিক্রমে এখানে পথসভার আয়োজন করা হয়। পুলিশ এসে সভা বন্ধ করে দেয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার জানান, ১৪৪ ধারা জারি করায় নিরাপত্তার স্বার্থেই পথসভা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর জানান, একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পথসভার আয়োজন করায় উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জনাব সেজুতি ধরের নিকট পরপর তিনদিন বিএনপির প্রার্থীর জনসভাস্থলে পাল্টা সভা আহ্বানের কথা জানতে চাইলে, তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলতে বলেন।



 

Show all comments
  • রিপন ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:৪৯ পিএম says : 0
    বলার মতো নিজেদের কোন বক্তব্য থাকলে পৃথক সময়ে জনসভা ডেকে আ'লিগ তা সহজেই বলতে পারতো। তা না করে পরপর তিনদিন ধরে বিএনপির জনসভার স্থানে একই সময় পাল্টা সভা আহ্বান প্রমাণ করে আ'লিগ এতদিনে দেউলিয়া সংগঠন হয়ে গেছে, যাদের নিজেদের বলার মতো কিছু তো নেই-ই, উপরন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কিছু বলবে তার আইনি কাঠামোর মাঝে, সেই সুযোগও আ'লিগ দিতে চাইছে না। আর প্রশাসনও আ'লিগের পদলেহী হয়ে আছে আজও, নইলে একটিবারও কেন বাধা দিল না আ'লিগের অন্যায় অবৈধ আবদারে?
    Total Reply(0) Reply
  • সুহাইল ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৩ পিএম says : 0
    হাল ধরে থাকতে হবে বি এন পি কে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ