বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্যাম্পাসে নিশ্চুপ শিবিরের নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে তারা আছেন কি নেই তা বোঝার কোন উপায় নেই। তবে তাদের এক ধরণের নিষিদ্ধ সংগঠনের মতোই মনে করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুনরায় ক্যাম্পাস ও তার আশেপাশে সংগঠিত হচ্ছে বলে বিভিন্ন গোয়েন্দা মাধ্যমে জানা গেছে। আর কোটা আন্দোলনকারীদের মারধরে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা সংগ্রহ ও তাদের নজরদারিতে রেখেছেন বলেও জানা গেছে।
যুদ্ধাপরাধী বিচারে জামায়াত নেতাদের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে সংগঠিত হয়ে যে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নি সংযোগ, পেট্রোল বোমা এবং বিপর্যয়মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল সেই ঘটনার পুনাবৃত্তি করতে গোপনীয়ভাবে পূর্নগঠিত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাছাড়া ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদকসহ শীর্ষস্থানীয় পদে ছাত্র শিবিরের একাধিক নেতাকর্মী থাকতে পারেন বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেন একাধীক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, বর্তমানে হলগুলোতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে শিবির। দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে শিবিরের অবস্থান না থাকায় হলে উঠার জন্য ছাত্রলীগে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে শিবির। আর এই অনুপ্রবেশকারী শিবিরের দ্বারাই নজরদারিতে রাখা হয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। আর যারা পরিচিত মুখ নয় তাদের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আবাসিক হলে রেখে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে শিবির।
গত ১মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক হলের পেছন পাশে গভীর রাতে প্রায় ১০-১২ টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ছাত্রলীগের দাবি এ কর্মকান্ডের সাথে শিবির জড়িত আছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, বিরোধী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির এবং ছাত্রদলকে প্রতিহত ও ক্যাম্পাসে বর্তমান আধিপত্য ধরে রাখতে ব্যাপক তৎপর হচ্ছে নেতাকর্মীরা।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডি, বিনোদপুর, কাজলা, ধরমপুর, মির্জাপুর, ভদ্রা, বুদপাড়াসহ অন্যান্য এলাকার বিভিন্ন ম্যাসে শক্ত অবস্থানে সক্রিয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। নিয়মিতভাবে চলছে তাদের গোপন বৈঠক। সেসব বৈঠক থেকে নেয়া হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। ক্যাম্পাসের আশেপাশে ও আবাসিক হলে নেতাকর্মীদের অবস্থানকে শক্ত করতে তাগিদ দেয়া হচ্ছে ওই গোপন বৈঠক থেকে। যে কোন মুহূর্ত নেতাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য প্রস্তুত থাকার জন্যও বলা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের কেউ যদি কোন ধরণের নাশকতামূলক কর্মকান্ডের চেষ্টা করে তাহলে শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবে। আমরা ইতিমধ্যে প্রতিটি হলে সকল নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছি। শুধু তাই নয় আমরা যেকোন জরুরী অবস্থা প্রতিহতের জন্য প্রস্তুত।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুব আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামেন রেখে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য ইতিমধ্যে বাড়তি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কোন সংগঠনের নেতাকর্মীরা যদি নাশকতার পরিকল্পনা কিংবা চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।