Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারের নির্বাচনী মাঠে ২৮ প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকা ধানের শীষ ও আপেল

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৩০ পিএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪টি আসনে প্রতীক পেয়েছে ২৮ প্রার্থী। প্রতীক পেয়েই মাঠে নেমেছেন নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ দিন পর বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীরা মাঠে নামায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক সাড়া। তবে নৌকা সমর্থকদের মারমুখো অবস্থানেরও খবর পাওয়া যাচ্ছে কোন কোন জায়গায়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশসহ সব ঠিকঠাক থাকলে ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজারের ১৩ লাখ 

৬৫ হাজার ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী ও প্রতীকে ভোট দিয়ে নতুন এমপি নির্বাচন করবেন বলেই আশা করা যাচ্ছে।

খবর নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারে ৪টি আসনে প্রতীক নিয়ে ২৮ প্রার্থী
মাঠে থাকলেও ১, ৩ ও ৪ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ধানের শীষ। আর মহেশখালী কুতুবদিয়ায় ধানের শীষের কোন প্রার্থী না থাকায় এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা আর আপেল।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের নির্ধারিত দিনে বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই সাথে সাথে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা।

রিটার্নিং অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্ধারিত দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। সকাল ১০ টা থেকে প্রার্থীরা এসে প্রতীক বরাদ্দ নিয়েছেন। এসময় প্রার্থীদের সাথে অনেক কর্মী সমর্থক জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ভিড় জমায়।

তথ্য মতে, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সালাহ উদ্দীন আহমদের স্ত্রী এডভোকেট হাসিনা আহমদকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমকে নৌকা, জাপার মৌলভী মো: ইলিয়াছকে লাঙ্গল, আবু মো: বশিরুল আলমকে হাতুড়ি মুহাম্মদ ফয়সালকে হারিকেন, আলী আজগরকে হাতপাখা, বদিউল আলমকে সিংহ ও তানিয়া আফরিনকে মটর (গাড়ি-কার) প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিককে নৌকা, জামায়াতের এইচএম হামিদুর রহমান আযাদকে আপেল, ড. আনছারুল করিমকে মাছ, ড. জসীম উদ্দিনকে হাতপাখা, আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মনজুর আহমদকে মোমবাতি, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ মোহিব্বুল্লাহকে লাঙ্গল, শাহেদ সরওয়ারকে কুলা, মো: জিয়াউর রহমানকে চেয়ার, মো: শহীদুল্লাহকে হারিকেন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এই আসনে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও শেষ মুহূর্তে দল তাঁকে ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোময় না দেয়ায় তাঁর মনোনয়ন আপনা-আপনি বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে জামায়াত নেতা হামিদ আযাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ায় ঐক্যফ্রন্ট জোটের মনোনয়ন পেয়েও আইনী জটিলতায় তিনি ধানের শীষ প্রতীক পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপেল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজলকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলকে নৌকা, জাতীয় পার্টির মুফিজুর রহমানকে লাঙ্গল, মোহাম্মদ আমিনকে হাতপাখা এবং মো: হাছানকে টেলিভিশন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক চার বারের সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীকে ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তারকে নৌকা, জাতীয় পার্টির মাস্টার এম.এ মঞ্জুরকে লাঙ্গল, মোহাম্মদ শোয়াইবকে হাতপাখা, সাইফুদ্দিন খালেদকে হারিকেন এবং রবিউল হোছাইনকে মিনার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতীক পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমে পড়েন প্রার্থীরা। মাইকিং দিয়েই প্রচারণা শুরু করেন অধিকাংশ প্রার্থী। প্রতীক পেয়ে সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন
প্রার্থীরাও।

রিটার্নিং অফিসার ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনে কোন ধরনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনও প্রার্থীকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া বিশৃঙ্খলা হলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কিন্তু ইতোমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে নৌকার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের। টেকনাফে বিএনপির নেতা কর্মীদের হুমকি ধমকি, মামলা হামলা ও পুলিশের সহযোগিতায় ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়ার মত ঘটনার অভিযোগ করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী।
একইভাবে কক্সবাজার সদর রামুর ধানের শীষের প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল অভিযোগ করেন নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা রামুতে তাঁর সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে, মারধর করছে। চকরিয়া পেকুয়া আসনেও এমন অভিযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী এড হাসিনা আহমদ।
ওদিকে মহেশখালীতেও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী জামায়াত নেতা হামিদ আযাদের নেতা কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান, তাঁর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ