বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহে ৩টি আসনের বিএনপির নির্বাচনী গণসংযোগ-মিছিল ও কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের প্রার্থীরা। এ সময় নির্বাচনী কার্যালয়-প্রার্থীর গাড়ী ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। মঙ্গলবার পৃথক পৃথক এসব হামলায় আহত হয়েছে প্রার্থী জাকির হোসেন বাবলু সহ কমপক্ষে ৩৫ জন নেতা-কর্মী।
মুক্তাগাছা আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জাকির হোসেন বাবলু জানান, বিকেলে গনসংযোগকালে উপজেলার ৪নং কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা অতর্কিত হামলা চালালিয়ে আমার গাড়ী সহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে আমি ও ড্রাইভার আব্দুল্লাহ সহ প্রায় ১০ নেতা-কর্মী। তবে বিষয়টি অবগত নন বলে জানান মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহম্মেদ মোল্লা।
অপরদিকে ভালুকা উপজেলার বাটাজোড় বাজার এলাকায় বিএনপির প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর করেছে আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা। ৯ নং কাচিনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনসুরের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে দাবি করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা। এ সময় নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল-টিভি ও আলমারী ভাংচুর করা হয়। এতে ৫ নেতা-কর্মী আহত হয় বলে জানান ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে বিএনপির প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চুর সমর্থকরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভালুকা থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, পোষ্টার ছেঁড়ে ফেলা এবং পাল্টাপাল্টি মিছিলকে কেন্দ্র করে একটু গন্ডগোল হয়েছে। তবে এটা বড় কিছু না।
এছাড়াও জেলার ফুলপুর উপজেলার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা মঙ্গলবার বিকালে ধানের শীষ ও নৌকা সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়।
জানাযায়, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ারের পক্ষে বিকেলে ধানের শীষের একটি মিছিল বের হলে হামলা চালায় নৌকা সমর্থকরা। এ সময় দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে বাসষ্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় কয়েকটি গাড়ি ও দোকান ভাংচুর করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতা ইসলাম উদ্দিন(৩৫), মোশারফ হোসেন (৫২), আব্দুস ছাত্তার (৩৫), মিলন (৩৫), মোস্তফা কামাল খান (৩৫), পাপু (১৬)সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।