বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, গত পাঁচ বছরে সরকার লক্ষ্মীপুরে আমাদের দলের অর্ধশত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেও শান্ত হয়নি, প্রতিনিয়ত হামলা-মামলা নির্যাতন, বোমাবাজি করে চলেছেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম জিয়ার মুক্তিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভোটের মাঠে নির্বাচনে নেমেছে। কিন্তু সরকার চাচ্ছে আমাদের নির্বাচন থেকে দুরে রাখতে। এ দেশের ভোটাররা আমাদের পক্ষে আছে, ময়দান আমাদের, সরকার যতই চেষ্টা করুক, আমরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবোনা। তিনি মঙ্গলবার সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের গোডাউন রোডস্থ তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ইশারায় লক্ষ্মীপুরের প্রশাসন এক চেটিয়া ভাবে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানী করে যাচ্ছেন। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে আমাদের কোন সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছেনা। প্রশাসন সাধারণ জনগণের বাক স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করছেন। শাসক গোষ্ঠী প্রশাসনের ছত্রছায়ায় লক্ষ্মীপুরের নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি নষ্ট করে চলেছেন। গত ৬ ডিসেম্বর ভবানীগঞ্জে সাবেক এমপি আবদুস সাত্তারের বাড়ীতে, ৫ ডিসেম্বর মান্দারী ইউনিয়নে দলীয় সভাপতির বাড়ীতে, ৮ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে ছাত্রদলের সভাপতির বাড়ীতে, ৯ ডিসেম্বর চৌপল্লী বাজারে আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বোমাবাজি করে হামলা চালিয়েছে। প্রতিনিয়ত তারা আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে চলেছে।
তিনি আরও বলেন গত তিন মাসে ছাত্রলীগের কর্মীরা একাধিকবার আমার বাসায় হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রাতে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে ধানের শীষের মিছিলে ও আমার বাসায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেল যোগে এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
উল্লেখিত ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, আসন্ন নির্বাচনে তারা ভোটের পরিবর্তে নির্বাচনে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে, আমার লোকদের উপর হামলা করে, নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করতে চায়। আমি প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, তারপরও আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসন ও দেশবাসীকে জানাতে চাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এডভোকেট মহসিন কবির স্বপন, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মামুন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।