বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানীর অভিযোগ করেছেন সিলেট-৬ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন, অবাদ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে আমার বিশ্বাস ছিল। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডতো দূরে থাক, বরং এটা প্রতীয়মান হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষামন্ত্রীকে পাশ করানোর এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, সোমবার প্রতীক বরাদ্দ নির্বাচনী দিনে প্রস্তাবক, সমর্থকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে হাজির হওয়ার কথা। এ উদ্দেশ্যে সিলেটে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে গোলাপগঞ্জের হিলালপুর এলাকায় ডিবি পুলিশ ফিল্মী কায়দায় গাড়ি থামিয়ে তার প্রার্থিতার সমর্থনকারী গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরীকে ধরে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী পুলিশ প্রটোকল নিয়ে এলাকায় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রশাসনের এই দ্বৈত নীতি আসন্ন নির্বাচনকে শুধু প্রশ্নবিদ্ধ করেনি, প্রত্যাশিত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হাস্যকরে পরিণত করেছে।
ফয়সল আহমদ চৌধুরী বলেন, আজ প্রচারণার প্রথম দিনে সন্ধ্যায় ফুলবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ফয়সলের উদ্যোগে ধানের শীষের সমর্থনে উঠান বৈঠক ছিল। কিন্তু দুপুরে তাকেও ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এছাড়া উপজেলার বাদে পাশা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শাহাবুদ্দিনকে স্থানীয় রাউকার বাজার ফাঁড়ি পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। বুধবারীবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনও মামলাও নেই। স্থানীয় প্রশাসনের এমন ন্যক্কারজনক আচরণ প্রমাণ করে তফসীল ঘোষণার পরও পুলিশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নয়, আওয়ামী লীগের অধীনে। প্রশাসনের আচরণের পরিবর্তন হয়নি। বিরোধী মত ও দল দমানোতে সরকার বরাবর পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আসছে। তাছাড়া আগামী কালের (মঙ্গলবার) আহ্বান করা বর্ধিত জনতা বিফল করতে অনেক নেতাকর্মীর বাড়ি ঘেরাও দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ রাত বিরাতে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানী করছে। অনেককে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে যেতে শাসিয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় উদ্ভূত যে কোনও পরিস্থিতির দায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি গ্রেফতার হওয়া বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেছেন।
ধানের শীষের প্রার্থীর অভিযোগ, এখন আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী নয়, পুলিশ প্রশাসন। নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষকে ভোটের অধিকার রক্ষায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব কাদির শাহী, বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন, আলী নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ মামুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।