রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরগরম হয়ে উঠছে মুন্সিগঞ্জ-১ আসন। এটি মুন্সীগঞ্জের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। শ্রীনগরের ১৪টি ইউনিয়ন ও সিরাজদিখানের ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনটি গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৬৪ হাজার। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে দুই লাখ ২৬ হাজার ও মহিলা ভোটার রয়েছে দুই লাখ ৩৮ হাজার। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি-না এ নিয়ে অধিকাংশ জনগণের মধ্যে সংসয় থাকলেও নির্বাচনের আমেজ চলছে সর্বত্র। পথে-ঘাটে, হাটে-বাজারে, চায়ের দোকানে, বন্ধুদের আড্ডা সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের গুঞ্জন। নতুন ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দিতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষের সংসয় থাকলেও আগ্রহের কমতি নেই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত বিএনপি নেতা শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ও যুক্তফ্রন্ট মনোনীত বিকল্পধারার মাহী বি. চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে। এ ছাড়াও রয়েছে জাকের পার্টির মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের এ কে এম আতিকুর রহমান।
পথ চলতে একজন নতুন ভোটার জানান তার নির্বাচনী ভাবনা। তিনি বলেন, আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো, কোনো অত্যাচারী, জুলুমবাজ, ক্ষমতালোভী নেতাকে নয়, বরং ভোট দেবো জনদরদী, শান্তি প্রিয় ও যার মধ্যে জনসেবার অভিলাষ রয়েছে। আর নিরাপদে ভোট দিয়ে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে যাব এটাই আমার কামনা। এই ভোটারের ভাবনার সাথে একমত পোষণ করে অটোচালক কামাল বলেন, ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে স্বপরিবারে ভোট দিতে যাবো। আর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে না পারলে কেন্দ্রেই যাবো না। মাদরাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, হয়তো নির্বাচন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন কারার কারণে ভোট দিতে পারব না, কিন্তু আমার দাবি কেন্দ্রে যেন শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। আমাদের এ আসনের জনগণ যেন তাদের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারে, সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব প্রশাসনের। চায়ের দোকানে চা পানরত বন্ধুদের আড্ডার এক শিক্ষিত যুবক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ২০০৮ সালে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, আর ২০১৪ সালে নির্বাচনে ভোটের জন্য ভোটারের প্রয়োজন হয়নি। আমরা আশা করি, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারব। অন্যথায় যুবসমাজ ভোট বর্জন করবে। শ্রীনগর পূবালী বাংকের ম্যানেজার নিখিল রঞ্জন গায়েন তার নির্বাচনী ভাবনায় বলেন, মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের জনগন শান্তিপ্রিয়, তারা একটি নিরেপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের জন্য যে কাজ করবেন তাকেই আমাদের ভোট দেয়া উচিত বলে মনে করি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভাবনায় বলেন, সব দলের অংশ গ্রহণে এ নির্বাচনে সারা মুন্সিগঞ্জে ভোটারদের মাঝে এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, শ্রীনগর-সিরাজদিখানবাসী বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের জোয়ার দেখেছে। এ উন্নয়ন জোয়ারের ধারা বাহিকতা ধরে রাখতে পছন্দসই যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।