বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে মহাখালীতে ছাত্রলীগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (বনানী) সভাপতি তানজিল হোসেন রাকিবকে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা এলাকার বড় ভাই এবং এর আগেও এ নিয়ে একাধিকবার ঝগড়ার ঘটনাও ঘটে। খুনীরা পরিচিত হলেও গত তিন দিনেও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলা তদন্তের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডের আগে একাধিক বৈঠক করে জড়িতরা। হত্যাকাণ্ডের মিশনে ৪ থেকে ৫জন অংশ নেয়। এর সাথে নির্বাচন বা দলীয় কোন কোন্দলের বিষয় জড়িত নয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আবু তাহের দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, পরকীয়ার কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আহত নূর ইসলামের কাছ থেকে খুনের সঙ্গে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গত ৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি কলোনির মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে ফেরার পথে নিজ বাসার কাছেই সঙ্গী নূর ইসলামসহ অতর্কিত হামলার শিকার হন রাকিব। পরে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত নূর ইসলাম ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বাবুগঞ্জ উপজেলার চন্ডপাড়া গ্রামের ও ঢাকার বিটিসিএলের লাইনম্যান পদে চাকরিরত আলতাফ হোসেনের ছেলে রাকিব। দুই ভাই ও বোনের মধ্যে রাকিব মেজ। পরিবারের সঙ্গে মহাখালী বিটিসিএল কলোনির কল্যাণ-৬০৪ নম্বর বাসায় থাকতেন তিনি। তেজগাঁও সরকারি কলেজ ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ থেকে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বিবিএ পাস করার পর সরকারি তিতুমীর কলেজে এমবিএ ভর্তির আবেদন করেন রাকিব।
লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বনানী থানার এসআই আব্দুল মালেক জানান, রাকিবের ঠোঁটের বাম পাশ থেকে বাম চোয়ালসহ থুতনি পর্যন্ত গভীর, মাথার পেছনে কয়েক জায়গা ও ঘাড়, বাম হাতের কনুই, কব্জি ও বুকের কয়েক জায়গায় কাঁটা জখম রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় বড় ভাই সজিবের স্ত্রীর সঙ্গে রাকিবের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তা জেনে যাবার পর সজিব স্ত্রীকে তালাক দেয়। সজিবের বৈবাহিক বিচ্ছেদ ঘটলেও রাকিব পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়ে যায়। যা সজিব সহ্য করতে পারেনি। এরই জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে সজিব কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে রাকিবকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে সজিব। তাকে ধরতে পারলে ঘটনার কারণ স্পষ্ট হবে। ওই সূত্র আরো জানায়, কড়াইল বস্তির সজিবই রাকিব ও নূর ইসলামকে কুপিয়েছে। সজিবের সঙ্গে জসিমও ছিল। তারা প্রায়ই রাকিবকে হুমকি দিতো। মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত সজিব
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।