রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রামগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতি আজাদ হোসেনের ওপর হামলা ও উপজেলার নাগমুদ কচু মার্কেটের বিএনপি দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব ও লক্ষীপুর ১ রামগঞ্জ আসনে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম।
স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গত শনিবার দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে রামগঞ্জ থেকে মোটরসাইকেল যোগে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মি এসে বিএনপি কার্যালয়টি ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা অফিসের মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয় বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের। শুক্রবার রাতে উপজেলার আলীপুর গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির বিএনপি সমর্থিত জামাল হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে একদল দূর্বৃত্ত। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।
বৃহস্পতিবার রাতে রামগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিস জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ পড়ে বের হওয়ার পথে একদল সন্ত্রাসী ছাত্রদল নেতা মিজান ও আজাদের ওপর হামলা করে মারাত্মক আহত করে। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মিজানুর রহমানকে ঢাকায় ও আজাদ হোসেন হাজীগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন স্থানীয় আ.লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রদল নেতার উপর হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের দলীয় নেতাকর্মিদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। একের পর দলীয় কর্মিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। রাতে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নির্বাচনের আগেই উপজেলা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতা-কমীদের হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আমরা লিখিতভাবে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারকে বিষয়টি অবগত করবো।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তোতা মিয়া জানান, অফিস ভাংচুরের ঘটনা আমি জানি না। আর ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার ঘটনা আমি মাত্র আপনার (সাংবাদিকদের) কাছে শুনলাম। তদন্ত করে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।