রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা মজবুত অবস্থানে রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নৌকার প্রতি মুকসুদপুরের ভোটারদের দুর্বলতা রয়েছে। এ কারণে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মুকসুদপরে নৌকার প্রার্থীরা অধিকাংশ ইউনিয়নেই রয়েছেন সুবিধাজনক স্থানে। আবার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থান সৃষ্টি করেছেন। সৎ, যোগ্য প্রার্থী ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার মত দিয়েছেন ভোটারারা। প্রর্থীরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরোপেক্ষ নির্বাচন দাবি করেছেন। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে ৪র্থ ধাপে আগামীকাল ৭ মে ১৬ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা একটু দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না। নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হতে যারপরনাই চেষ্টা করছেন। অনেক প্রার্থী খুব সকালে বের হয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফিরছেন। তবে মুকসুদপুর উপজেলায় বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে ৭৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ১৩৪ জন ও সাধারণ মেম্বার পদে ৪৩২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ১৫ জন, বিএনপির ৩ জন ও ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বরিন্দ্বতা করছেন। এর মধ্যে গোবিন্দপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোঃ ওবায়দুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। খান্দারপাড় ইউনিয়নে ৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। আগামীকাল ৭ মে ২ লাখ ২ লক্ষ ২২৫ জন ভোটার ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন। গোহালা ইউনিয়নে ভোটার কাজী হারুন অর রশীদ মিরন, ননীক্ষীর ইউনিয়নের ভোটার রাজিব কীর্ত্তনীয়া বলেন, সুখে-দঃখে যাকে কাছে পাব এবং সৎ, যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব। গোহালা ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহারাজপুর ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশরাফ আলী আশু মিয়া ও ননীক্ষীর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হারুন বলেন, মুকসুদপুর আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধুর নৌকার জন্য ভোটাররা পাগল। ভোটাররা নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবেন। মাহারাজপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান বলেন, নির্বিঘœ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হলে আমি নৌকার প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করব। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছি। মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম সিকদার বলেন, গত ২৩ এপ্রিল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। মুকসুদপুরেও বঙ্গবন্ধুর নৌকার ইমেজে রয়েছে। এখানেও নৌকার ইমেজের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নৌকার সব প্রার্থীই জয়ী হবেন। মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফয়জুল মোল্লা বলেন, এখন পর্যন্ত মুকসুদপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটের ময়দানে প্রচার-প্রচারণা চলছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।