বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলের পর গতকাল শনিবার শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন(ইসি) কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অন্যতম নেতা বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এর মনোনয়ন বাতিল করেছে। কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ এবং টাঙ্গাইল-৮ এই দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু ঋণ খেলাপির অভিযোগে গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি।
এর ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এর পূর্বেই কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টার কিছু পরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ১১ তলায় এ লক্ষ্যে গঠিত এজলাসে আপিল আবেদনের শুনানি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এ আপিল শুনানিতে ছিলেন। ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিচারকদের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে এই আপিল শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে প্রথম দিন ১৬০টি আবেদনের ওপর শুনানি করে ৮০ জনের প্রার্থিতাকে বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আর গত শুক্রবার ১৫০টি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এর মধ্যে ৭৮ জন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। পাশাপাশি এদিন ৬৫ জনের প্রার্থিতা বাতিল এবং সাতজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন। পরে বিকালে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিল করেন ইসি। দুদিনে মোট ১৫৮ জন তাদের মনোনয়ন ফিরে পান। এতে ভোটের মাঠে তাদের লড়াইয়ের আর কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকল না।
মনোনয়নপত্র বাছাইকালে দুই হাজার ২শত৭৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ ও ৭৮৬টি অবৈধ বলে ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাগন। এগুলোর মধ্যে বিএনপির ১শত ৪১টি, আওয়ামী লীগের তিনটি এবং জাতীয় পার্টির ৩৮টি মনোনয়নপত্র রয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৩শত ৮৪টি। এর মধ্যে আপিলের আবেদন এসেছে ৫৪৩টি।
৩৯টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে তিন হাজার ৬৫টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা পড়ে মোট দুই হাজার ৫শত৬৭টি, আর স্বতন্ত্র ছিল ৪শত ৯৮টি।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।