বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটে রয়েছে ছয়টি সংসদীয় আসন। এসব আসনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের প্রার্থীই দেখতে চান জাতীয় নির্বাচনে। কিন্তু জোট-মহাজোটের সমীকরণে তাদের আশা পূর্ণতা পাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সিলেটে দুটি করে আসন জোট ও মহাজোটের শরিকদের ছেড়ে দিচ্ছে বলে জোর গুঞ্জন। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে এবং বিএনপি জামায়াতকে দুটি করে আসনে ছাড় দিচ্ছে।
জাতীয় পার্টি ও জামায়াত এসব আসনে নিজেদের প্রার্থীও দিয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থী না পেয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা শরিক দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নারাজ। ফলে জাপা ও জামায়াতের প্রার্থীরা যদি জোটের প্রার্থী হন, তারপরও তাদেরকে লড়াই করতে হবে একা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সিলেট-২ ও সিলেট-৫ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিচ্ছে। আর বিএনপি সিলেট-৫ ও সিলেট-৬ আসন দুটি জামায়াতকে ছাড়ছে। সিলেট-২ আসনে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া ও সিলেট-৫ আসনে জাপা চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে সিলেট-৫ আসনে জামায়াত নেতা মাওলানা ফরিদ উদ্দিন ও সিলেট-৬ আসনে মাওলানা হাবিবুর রহমান প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি হচ্ছে, সিলেটের সকল আসনেই নিজেদের প্রার্থী দিতে হবে। তারা বলছেন, বছরের পর বছর এলাকায় রাজনীতিতে তারা সক্রিয় থাকেন, কিন্তু নির্বাচন এলে ‘সুযোগসন্ধানীরা’ জোটের শরিক হিসেবে প্রার্থী হয়ে যান। এর ফলে তৃণমূলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়ে। তারা সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেন। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা।
আগামী নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী আর সিলেট-৫ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ মনোনয়নলাভের জোর দাবিদার ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সিলেট-৫ আসনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন এবং সিলেট-৬ আসনে জেলা বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী মনোনয়ন পেতে সক্রিয়। কিন্তু এসব আসন শরিকদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা জোটের শরিক হলেও অন্য দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নারাজ। ফলে ওই চারটি আসনে জোটের শরিক দলের নেতারা প্রার্থী হলেও নির্বাচনী মাঠে তাদেরকে একা একাই লড়াই করতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।